সরকারি সূত্রে খবর, আশাকর্মীদের জন্য ২৬০৬টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফাইল চিত্র।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের নিচুতলার মানুষজনের কাছে সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কারণে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ভাবনাও রয়েছে সরকারের। সেই অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আড়াই হাজারের বেশি আশাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, আশাকর্মীদের জন্য ২৬০৬টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে নবান্নের একটি সূত্রের দাবি, এই নিয়োগের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। বিভিন্ন জেলায় আশাকর্মীর অভাব রয়েছে, সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নতুন করে নিয়োগ শুরু হবে।
রাজ্য রাজনীতির বৃত্তে থাকা একাংশের মতে, কলকাতা ছাড়া রাজ্যের ২২টি জেলাই গ্রামীণ এলাকা নিয়ে গঠিত। সেই সব জায়গাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। সে দিক থেকে দেখলে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই নিয়োগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, আশাকর্মী নিয়োগের ফলে যেমন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে, তেমনই সেই আশাকর্মীদের দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরকারি পরিষেবা মানুষের দরজায় দরজায় নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই প্রশাসন যা-ই দাবি করুক না কেন, রাজ্য সরকারের এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলেই মত তাদের।
শুধু আশাকর্মীই নয়, রাজ্যে আরও ৪৫৬টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওই শূন্যপদে নিয়োগের প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে। তাই মনে করা হচ্ছে, ২৬০০ আশাকর্মীর সঙ্গে ওই ৪৫৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া আগামী এপ্রিল-মে মাসের আগেই শেষ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy