মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
নাম না করে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, সৌগত রায়দের ভাষা-সন্ত্রাস নিয়ে কটাক্ষ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন, মাথার এখানে গুলি করব, জিভ টেনে ছিঁড়ে নেব, এমনকি, গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানাব— এ সব কথায় রাজ্যে এখন কি পুষ্পবৃষ্টি হচ্ছে? তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, মিঠুনের দল বিজেপির নেতারাই ধারাবাহিক ভাবে ‘ভাষা-সন্ত্রাস’ চালাচ্ছেন।
গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে মিঠুনের বিরুদ্ধে ‘ভাষা-সন্ত্রাস’ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে মামলাও হয়। তৃণমূলের তোলা সেই অভিযোগের জবাবেই যেন মিঠুন রবিবার বালুরঘাটে বলেন, ‘‘মানুষের অনুরোধে আমি আমার ছবির সংলাপ বলেছিলাম। সেটা আমার রুটি-রুজির কামাই। তা নিয়েও আমার বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল। তা হলে এখন বঙ্গে ওই সব যা ডায়লগ চলছে, সেগুলিতে কি পুষ্পবৃষ্টি হচ্ছে?’’
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘গোলি মারো শালোঁ কো, লাশ পড়বে শ্মশানে, কাঁচা বাঁশ পেটা করব— এ সব কথা তো ওঁর দলের নেতারাই বলে চলেছেন! আর আমাদের নেতৃত্ব বলেছেন, মার খেয়েও পুলিশ সংযত ছিল, গুলি চালায়নি, তার জন্য সেই পুলিশ আধিকারিককে ‘স্যালুট’ করছি। বাংলায় রাজনীতি করতে এসেছেন, এই দু’টোর মধ্যে ফারাক বুঝছেন না? ফারাকটা বুঝলেই ওঁর মানসিক বিভ্রান্তি কেটে যেত!’’ কুণালের আরও কটাক্ষ, ‘‘উনি (মিঠুন) ভাল অভিনেতা, সন্দেহ নেই। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে যে দলেই যান, তার নেতাদের সঙ্গে কিছু দিন অভিনয় করে অন্য দলে চলে যান! সমস্যাটা ওখানে।’’
কলকাতা থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে এ দিন ট্রেনে মালদহ হয়ে সড়ক-পথে বালুরঘাটে পৌঁছন মিঠুন। বালুরঘাটের একটি বেসরকারি হোটেলের হলে তিনি দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন বিজেপি বিধায়কের পাশাপাশি দলের জেলা সভাপতি ও অন্য নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই বৈঠকে দলের কর্মীদের ‘লড়াই চালানোর’ উপরে সওয়াল করেন মিঠুন। কর্মীদের তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব যে ভাবে পরামর্শ ও নির্দেশ দেবেন, সে ভাবে কাজ করুন।
জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকী অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বিজেপি নেতারা সব সময় বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর দলীয় কর্মসূচিতে এসেছেন। তিনি কী করলেন, কী বললেন, সেটা তাঁদের দলের বিষয়।’’
সাংবাদিক সম্মেলনে এ দিন ছেলের বিষয়ে কথা প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত নয়, আমি মনুষ্যত্ব নিয়ে রাজনীতি করি। সুতরাং, যে বা যাঁরা যা বলছেন বলতে দিন, আমি কোনও কিছু বলব না।’’ রাজ্যের শাসক দলের তরফে সম্প্রতি বলা হয়েছে তাঁকে টেলিভিশনে দেখালে নাকি তৃণমুলের ভোট বাড়বে। এই প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন হেসে বলেন, ‘‘দল যদি মনে করে আমাকে দেখাবে না, তা হলে আমাকে ডাকবে না! তবে সেটা দলকে ভাবতে দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy