মমতা প্রশ্ন তুললেও চুপ মাদার হাউজ। ফাইল চিত্র
মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই খবর সামনে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘বড়দিনের উৎসবের মধ্যে মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে শুনে আমি বিস্মিত।’ এখনও পর্যন্ত এই খবর সম্পর্কে কলকাতার মাদার হাউজ কোনও মন্তব্য না করলেও মমতা টুইটারে লিখেছেন, ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী এবং কর্মীরা খাবার এবং ওষুধ পাচ্ছেন না। আইন সবার উপরে হলেও মানবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়।’
প্রসঙ্গত, তদন্তের স্বার্থে সবক’টি অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেন বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কলকাতায় মাদার হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই খবর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি। আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে বারংবার বলা হয়, ‘‘আমার এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ খবরের সত্যাসত্য জানতে চাইলেও মন্তব্য না করার কথা বলা হয়।
Shocked to hear that on Christmas, Union Ministry FROZE ALL BANK ACCOUNTS of Mother Teresa’s Missionaries of Charity in India!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 27, 2021
Their 22,000 patients & employees have been left without food & medicines.
While the law is paramount, humanitarian efforts must not be compromised.
কেন্দ্র কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানা না গেলেও সম্প্রতি গুজরাতে একটি বিতর্কে জড়ায় টেরিজার সংস্থা। ধর্মান্তরণের অভিযোগে মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিরুদ্ধে এফআইআর-ও দায়ের হয়। গুজরাতের বডোদরা শহরে ওই সংগঠনের যে হোম রয়েছে, তার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরণ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হয় এমন কাজও ওই হোমে হয়ে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয় সংগঠনের তরফে। তাদের দাবি, ওই হোমে কোনও ভাবেই জোর করে কারও ধর্মান্তরণ করা হয়নি। এই অভিযোগ ওঠার পরেও কলকাতায় মাদার হাউসে যোগাযোগ করা হলে, আধিকারিকরা জানান, এ নিয়ে তাঁরা কিছু বলতে চান না।
বডোদরার জেলা সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিক ময়ঙ্ক ত্রিবেদী গত ১৩ ডিসেম্বর অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, ওই হোমে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এবং হোমের অল্পবয়সি মেয়েদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করা হয়ে থাকে। গুজরাতের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, ২০০৩-এর আওতায় মকরপুরা থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন ময়ঙ্ক। তাঁর বক্তব্য, গত ৯ ডিসেম্বর জেলার শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ওই হোমে গিয়েছিলেন তিনি। এফআইআরে তিনি বলেছেন, সেখানে তিনি দেখেছেন, হোমের মেয়েদের জোর করে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ানো হয়, তাদের গলায় ক্রস পরতে বলা হয় এবং তাদের খ্রিস্টানদের প্রার্থনায় অংশ নিতেও বলা হয়। ময়ঙ্কের আরও অভিযোগ, হিন্দু মেয়েদের আমিষ খাবারও খেতে দেওয়া হয় ওই হোমে। তাঁর বক্তব্য, এ ভাবেই প্রকারান্তরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি কর্তৃপক্ষ হোমের মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরণের পথে নিয়ে যাচ্ছেন। ময়ঙ্ক জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ওই সংগঠন নিয়মিত হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। পুলিশ ময়ঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy