ভরা মাঘ মাসে শীত তো দূরের কথা, উল্টে গরম অনুভূত হচ্ছে। বাসে, ট্রেনে দরদর করে ঘেমে উঠছেন অনেকে। শনিবারও কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সাত ডিগ্রি বেশি। তবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল লাগোয়া কয়েকটি জেলায় আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রির বেশি ওঠেনি। পূর্বাভাস বলছে, আগামী দু’দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। অর্থাৎ, সরস্বতী পুজোতেও এই ‘গরম’ থাকবে। চেনা শীতের দেখা মেলার সম্ভাবনা নেই। তার পরের দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন কিছু জেলায় তাপমাত্রা কমতে পারে দুই থেকে তিন ডিগ্রি। যদিও আপাতত সর্বত্রই শুকনো আবহাওয়া থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন:
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও শুকনো আবহাওয়ার সম্ভাবনা। বেশ কিছু জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। আগামী পাঁচ দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কুয়াশার কারণে এই সমস্ত জেলায় দৃশ্যমানতা ১৫০ থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে নেমে যেতে পারে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে যাতায়াত এবং যান চলাচলেও সমস্যা হতে পারে।
মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝাই এ বছর শীতের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকবে ৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া, অসম, কেরল এবং রাজস্থানে রয়েছে একটি করে ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে। তাই শীত জাঁকিয়ে বসতে পারছে না। আপাতত শীতের বিদায় পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই এ বছরের মতো শীত বিদায় নেবে।