লোকসভার ভোটগ্রহণের দিন এখনও প্রায় দু’মাস বাকি। নির্বাচনের আগে জেলায় নির্বাচনের প্রস্তুতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পূর্ব মেদিনীপুরে এলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের রাজ্য যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈবাল বর্মন। নির্বাচন কমিশনের ওই আধিকারিক মঙ্গলবার তমলুকে জেলা প্রশাসনিক অফিসের সভাকক্ষে জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন-সহ জেলার সব অতিরিক্ত জেলাশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মহকুমাশাসক, সহকারী নির্বাচন আধিকারিকদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে বৈঠক করেন।
এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলার আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি, পুলিশবাহিনী থেকে ভোটার তালিকা, সচিত্র পরিচয়পত্র, ভোটকর্মী নিয়োগ, তাঁদের প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি, ভোট যন্ত্রের ব্যবস্থা, আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলা প্রভৃতি বিষয় খতিয়ে দেখেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক। বৈঠকের পর যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈবাল বর্মন বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি-সহ জেলার আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছি। এখনও জেলার নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েনি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক ও কাঁথি লোকসভা ছাড়াও ঘাটাল ও মেদিনীপুর লোকসভার আংশিক এলাকা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সারা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার ভোট গ্রহণের সময় মোট বুথের ৩০ শতাংশ বুথে মাইক্রো-অবজারভার থাকছে। ২০ শতাংশ বুথে ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হবে। বাকি বুথগুলিতে ডিজিটাল ক্যামেরা থাকছে। ভোটগ্রহণের সময় বুথে কড়া নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আর নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তা কার্যকরী করার জন্য নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ হাজার। এর মধ্যে একটি বড় সংখ্যক নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলন পর্বের। এদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। জেলায় এখনও প্রায় ৩৯০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, “আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে।” এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক জেলার বিভিন্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy