Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝাড়গ্রামে বিমল-খুনে অভিযুক্তদের ধরার দাবি

ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানার সামনে জমায়েত।— নিজস্ব চিত্র।

ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানার সামনে জমায়েত।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৫ ০০:২২
Share: Save:

খাবার দোকানের কর্মী বিমল মাহাতোকে মারধর করে খুনের ঘটনায় জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের হাজিরার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম প্রথম এসিজেএম আদালত। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম প্রথম এসিজেএম আদালতের বিচারক কৃষ্ণমুরারিপ্রসাদ গুপ্ত জামিনপ্রাপ্ত ৯ অভিযুক্তের মধ্যে ৮ জনকে আগামী ৯ মার্চ আদালতে হাজির করার জন্য দুই জামিনদারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিন অভিযুক্তদের জামিন বাতিল করার জন্য পুলিশের আবেদনের শুনানি হবে। ওই দিন মেদিনীপুর জুভেনাইল আদালতেও জামিনপ্রাপ্ত এক নাবালক অভিযুক্তের জামিন বাতিলের শুনানি দিন ধার্য হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, আট অভিযুক্তের তরফে গত বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম আদালতের এক আইনজীবী ও এক মুহুরি জামিনদার হয়েছিলেন।

বিমলবাবুর পারিবারিক আইনজীবী দেবনাথ চৌধুরী এ দিন আনন্দবাজারকে বলেন, “জামিন পাওয়ার পরে অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দিয়েছে। ৯ তারিখ অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয় কি-না সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অরণ্যশহরের উপকন্ঠে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা এলাকায় চাহিদামতো সিগারেট না পেয়ে দোকানদারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল স্কুল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। খাবার দোকানটির মালিক প্রদীপ মাহাতোকে মার খেতে দেখে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন তাঁর কাকা বিমল মাহাতো (৩৬)। হামলাকারীদের মারে গুরুতর জখম হয়ে গত শুক্রবার এসএসকেএমে মৃত্যু হয় বিমলবাবুর। ঘটনার পরেই দশজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিমলবাবুর ভাইপো প্রদীপ মাহাতো। এক নাবালক-সহ তিন অভিযুক্তকে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। দু’জন ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। আর এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় সে মেদিনীপুর জুভেনাইল আদালত থেকে জামিন পায়। শুক্রবার আরও ছয় অভিযুক্ত ঝাড়গ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে করে জামিন নেয়। শুরু থেকেই এই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সমালোচনার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত মামলায় খুনের ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সোমবার পুলিশের আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় মামলাটিতে খুনের ধারা যুক্ত হয়। অভিযুক্তদের জামিন বাতিল করার জন্যও আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। পুলিশের সেই আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন বিচারক আট অভিযুক্তকে ৯ মার্চ হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ দিন বিমলবাবুর স্মরণে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানা এলাকায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে শোক-জমায়েত করেন তাঁর পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীরা। মৃতের স্ত্রী ও সন্তানরাও সামিল হন।

অন্য বিষয়গুলি:

jhargram bimal murder case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy