Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Exceptional Complaint

বালাপোশে গায়ে ব্যথা, দায়ী নাকি তৃণমূল!

গায়ে দিলেই নাকি সারা শরীরে ব্যথা হচ্ছে। আর এ জন্য শহর তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে নবান্ন, এমনকী গোটা মন্ত্রিসভাকে দায়ী করে পুলিশে অভিযোগ জানালেন ক্ষীরপাইয়ের এক যুবক।

গোটা মন্ত্রিসভাকে দায়ী করে পুলিশে অভিযোগ জানালেন ক্ষীরপাইয়ের এক যুবক।

গোটা মন্ত্রিসভাকে দায়ী করে পুলিশে অভিযোগ জানালেন ক্ষীরপাইয়ের এক যুবক। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অভিজিৎ চক্রবর্তী
ক্ষীরপাই শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২১
Share: Save:

শীতের আগে লেপ, বালাপোশ, গদি তৈরি করিয়েছিলেন। কিন্তু সে সব গায়ে দিলেই নাকি সারা শরীরে ব্যথা হচ্ছে। আর এ জন্য শহর তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে নবান্ন, এমনকী গোটা মন্ত্রিসভাকে দায়ী করে পুলিশে অভিযোগ জানালেন ক্ষীরপাইয়ের এক যুবক।

অভিযোগকারী ক্ষীরপাই পুর শহরের ১০ ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন বসু। এর আগে কখনও চুল ছোট করে কেটে দেওয়ায় সেলুন মালিকের বিরুদ্ধে, কখনও বা বাড়ির বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে গোপন ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নালিশ ঠুকেছেন তিনি। তবে এ বারের অভিযোগে সরাসরি শাসক দলকে জড়িয়ে দেওয়ায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে।

চন্দ্রকোনা থানা-সহ বিভিন্ন মহলে সম্প্রতি ওই অভিযোগ করেছেন প্রিয়রঞ্জন। থানায় ডাকযোগে পাঠানো অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, নতুন পাকা বাড়ি তৈরির পরে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস তৈরি করিয়েছেন।বালিশ, বিছানা, লেপ, গদিও বানিয়েছেন। এখন শীতে সেই লেপ,বালাপোশ ব্যবহার করতেই টের পাচ্ছেন ব্যথা। ওই যুবকের দাবি, তৃণমূলের লোকজন মিস্ত্রির সঙ্গে যোগাযোগ করে লেপ, বালাপোশে কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছে। এবং সেটা এমন কিছু য়া ক্ষীরপাই শহরে পাওয়া যায় না। তাঁর দাবি, শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব নবান্নের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সেই জিনিস মিশিয়েছেন।

পুলিশ এই অভিযোগকে যথারীতি আমল দিচ্ছে না। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অনিমেষ সিংহ রায় বলেন, ‘‘থানায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ে। তবে যে সব অভিযোগের সারবত্তা থাকে না, নিয়ম মেনে সেগুলি খারিজ হয়ে যায়।’’ তবে আগেও একাধিকবার এমন উদ্ভট অভিযোগ তোলায় প্রিয়রঞ্জনকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ক্ষীরপাই শহর তৃণমূল সভাপতি তথা প্রাক্তন পুর-প্রশাসক বীরেশ্বর পাহাড়ি বলেন, “ওর বিষয়ে কিছু বলার নেই। এর আগেও শহরের অনেককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে।” ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পানেরও বক্তব্য, “ওই যুবকের সব বিষয়ে অভিযোগ করার একটা প্রবণতা রয়েছে।”

প্রিয়রঞ্জনের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যাঁকে। বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি ফোনেও। জানা গিয়েছে, প্রিয়রঞ্জন এক সময় মিষ্টির ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। পরে রাস্তা চওড়া হওয়ায় দোকান উঠে গিয়েছে। এখন বাড়িতেই থাকেন বিবাহিত ওই যুবক। তবে স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে অন্যত্র থাকেন।

বছর দেড়েক আগে ক্ষীরপাই শহরের এক সেলুনে তাঁর চুল কেন ছোট করে কেটে দেওয়া হয়েছে সেই অভিযোগে সেলুন দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন প্রিয়রঞ্জন। তা নিয়ে তদন্তও হয়।বাড়িতে সেটটপ বক্স, টিভি, চার্জার, বাল্বে মাইক্রোফোন এবং গোপন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। খাবারে ভেজাল মেশানো হচ্ছে জানিয়ে একসময় জেলা পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ওই যুবকের এক আত্মীয় বলেন, “ও নিজের সিদ্ধান্তেই চলে। নিষেধ করলেও শোনে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Winter police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy