ভগবানপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন সংঘর্ষে জখম তরুণী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভগবানপুর। দিনে-দুপুরে মুড়িমুড়কির মতো গ্রামের রাস্তায় পড়ল বোমা। ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে দু’পক্ষের মহিলারা রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ভগবানপুর-১ ব্লকের লালপুর এলাকা কার দখলে থাকবে, এই নিয়ে আজিমুল এবং হারুন রশিদ (বাবুলাল) তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আগেও এলাকা উত্তপ্ত হয়েছে। ঘটনায় আজিমুল গোষ্ঠীর লোকেদের মারধর করার অভিযোগে হারুন রশিদ গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত বাবুলাল গোষ্ঠীর লোকেরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ আজিমুল গোষ্ঠীর। আজিমুল ভগবানপুর ১ ব্লক তৃণমূলের সহ-সম্পাদক এবং হারুন রশিদ ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
বুধবার লালপুরে দুই গোষ্ঠীর পুরনো কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর একে অপরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় এদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দুই গোষ্ঠীর মহিলারাই এগরা-বাজকুল সড়কে গাঁধী মোড়ে পথ অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টার পথ অবরোধের পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বোমাবাজির ঘটনায় জড়িত থানার সন্দেহে বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের ফোন করা হলে, তাঁরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ভগবানপুর ১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় বোমাবাজি ঘটেছে। রং না দেখে পুলিশকে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।’’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বোমাবাজির ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy