বাঁদর ধরতে পাতা হয়েছে খাঁচা।
পোষা বাঁদরের হামলা থেকে বাঁচতে ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করলেন মহিষাদলের রথতলার এক মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত কম করে শতাধিক ব্যক্তি জখম হয়েছেন বাঁদরের আক্রমণে। যদিও ‘দিদিকে বলো’য় ফোনের পর সক্রিয় হয়ে উঠেছে বন দফতর।
‘দিদিতে বলো’য় যিনি ফোন করেছিলেন, রথতলার বাসিন্দা সেই দীপালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাঁদরের উৎপাতের কথা সর্বস্তরে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। শেষমেশ ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করি।’’ এরপরও শনিবার সন্ধ্যায় ফের বাঁদরের আক্রমণ হয়। বাঁদরের হানায় আক্রান্ত এক পরিবারের সদস্য ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাঁদরটির আক্রমণে পরিবারের একাধিক সদস্য জখম হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।’’ ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করার পর খাঁচা এবং জাল নিয়ে এলাকায় পৌঁছয় বন দফতর। যদিও শনিবার টানা চার ঘণ্টা চেষ্টার পরেও ধরা দেয়নি বাঁদরটি। তাই বন দফতর খাঁচাটি রেখে যায় স্থানীয় দোলা চক্রবর্তীর বাড়িতে। খাঁচার ভিতরে খাবারও দেওয়া হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএফও স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘আমরা আগেও বাঁদরটিকে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ধরা যায়নি।’’ বাঁদরের আক্রমণে আক্রান্ত দোলা চক্রবর্তী জানান, স্থানীয়দের নিয়মিত ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। শুক্রবার ও মঙ্গলবার একশো থেকে দেড়শো জন আক্রান্ত ভ্যাকসিন নিতে আসেন। মহিষাদল বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ মোহনলাল ঘোড়ই বলেন, ‘‘অনেকেই আসছেন। আমরাও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন মজুত রেখেছি।’’ বাঁদরের অতর্কিত আক্রমণে গড়কমলপুরের প্রাথমিক ছাত্রী মুসকান ধনরাজ, ঘাগরার গৃহবধূ নবীনা দাস, রিনা পাহাড়ির মতো অনেকেই জখম হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, এক্তারপুর, তেরপেখ্যা, ঘাগরা অঞ্চলে বাঁদরটিকে দেখা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy