—প্রতীকী চিত্র।
এক আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কেশপুরের আনন্দপুরের ঘুচিশোলে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের নাম মালতী মুর্মু (৫৩)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্পর্কে কাকা এক বৃদ্ধের সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল, এই সন্দেহেই তাঁকে স্থানীয় কয়েকজন পিটিয়ে খুন করেছে। মারধরে জখম হয়ে শালবনির হাসপাতালে ভর্তি ওই বৃদ্ধ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবারই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে পাঁচ-ছ’জন যুক্ত থাকতে পারে। ঘটনায় জড়িত আরও দু’-তিনজনের খোঁজ চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘আনন্দপুরের ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ আনন্দপুরের ওই এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মালতী বিধবা। তাঁর স্বামী হারাধন মুর্মু বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন। বছর কয়েক আগে থেকেই মালতীর বাড়িতে প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের আনাগোনা ছিল। বছর চৌষট্টির ওই বৃদ্ধকে মালতীর পরিজনেরাও চিনতেন। বৃদ্ধের স্ত্রী, সন্তানেরাও রয়েছেন। অভিযোগ, স্বামীর জীবদ্দশাতেই মালতীর সঙ্গে ওই বৃদ্ধের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। জানা যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন আগেই সরব হয়েছিল। মালতী এবং ওই বৃদ্ধকে ‘সতর্ক’ করেছিল তারা। সম্প্রতি এলাকায় এ নিয়ে না কি সালিশি সভাও হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার এক জায়গায় ওই দু’জনকে একসঙ্গে দেখে ফেলে স্থানীয় কয়েকজন। তারা মালতী এবং ওই বৃদ্ধকে তাড়া করে। প্রাণভয়ে মালতী বাড়িতে এসে ঢোকেন। বৃদ্ধও মালতীর বাড়িতে আসেন। এরপর ওই কয়েকজন মালতীর বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এলাকার ‘মোড়লদের’ মদতেই না কি এ সব হয়েছে। এরপর মালতী ও ওই বৃদ্ধকে মারধর শুরু হয়ে। কোনও রকমে ছুটে পালান ওই বৃদ্ধ। একা পেয়ে মালতীকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
খবর পরিজনেরা যখন পৌঁছন ততক্ষণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে মালতীকে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘুচিশোল এলাকাটি কেশপুর ব্লকের জোড়াকেউদি-সোলিডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় হারু হেমব্রম বলেন, ‘‘বাজার থেকে ফেরার সময় মাঠের কাছে চিৎকার শুনতে পাই। যে ছেলেগুলি মারছিল তারা কিছুতেই আমার কথা শুনছিল না। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও ঘুরে মারতে আসছিল। ওরা আমার কথা শোনেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy