ছবি: সংগৃহীত।
লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি পরিষেবার দিকে তাকিয়ে সবাই। এই জরুরি সময়ে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে যাঁরা সরকারি অফিসে গরহাজির রয়েছেন, তাঁদের শো-কজ় করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, রেলশহর খড়্গপুর দিয়ে এই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। ওই পুরসভার ৪৮ জন কর্মীকে শো-কজ় করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, বুধবারের মধ্যেই ৯ জন কর্মীর কাছে শোকজ়ের চিঠি পৌঁছেছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পুরসভার ফিনান্স অফিসার (এফও) সমীরকুমার দাস, অফিস সুপারিনটেনডেন্ট হেমলতা রাও, ইঞ্জিনিয়ার দিগ্বিজয় রায় প্রমুখ। সমীর পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারের দায়িত্বেও রয়েছেন।
শো-কজ় করেছেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী। তিনি মানছেন, ‘‘পুরসভার কয়েকজন কর্মীকে শো-কজ় করা হচ্ছে। তাঁরা নিয়মিত পুরসভায় আসেননি।’’ সূত্রের খবর, শো-কজ় হওয়া কর্মীরা ২৩ মার্চ থেকে অফিসে গরহাজির রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, এঁদের মধ্যে মাত্র ৯ জন মাঝে ১ দিন, ২ দিন করে অফিসে এসেছিলেন। এরপর আর আসেননি।
সূত্রের খবর, চিঠি পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সদুত্তর না এলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ২০০৫ সালে এই আইন লাগু হয়। করোনা ঠেকাতে দেশে এখন বিপর্যয় আইন জারি হয়েছে। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সে কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
খড়্গপুরের পুরপ্রধান তথা স্থানীয় বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘করোনার সতর্কতা থাকলেও আমাদের জরুরি পরিষেবা দিতেই হচ্ছে। মহকুমাশাসক অফিসে গরহাজির কর্মীদের তালিকা চেয়েছিলেন। সেটি দেওয়া হয়েছে।’’ গরহাজির কর্মীদের তো পুরপ্রধান নিজেও শো-কজ় করতে পারেন? প্রদীপ বলেন, ‘‘আমি যতদূর জানি করোনা মোকাবিলার পরিস্থিতিতেই এই পদক্ষেপ। খড়্গপুরে করোনা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে হচ্ছে। তাই মহকুমাশাসক ওই পদক্ষেপ করেছেন।’’
কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অফিসে গরহাজির রয়েছেন কেন? পুরসভার ফিনান্স অফিসার সমীরকুমার দাস বলেন, ‘‘যা জানানোর কর্তৃপক্ষকেই জানাব।’’ অফিস সুপারিনটেনডেন্ট হেমলতা রাওয়ের উত্তর, ‘‘শো-কজ়ের জবাব দিচ্ছি।’’ শো-কজ়ের চিঠি পাওয়া এক কর্মীর সাফাই, ‘‘গণ পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। তাই অফিসে যেতে পারছি না! তাছাড়া করোনা সংক্রমণের ভয়ও রয়েছে!’’ শো-কজ়ের চিঠি পেয়ে কয়েকজন কর্মী এ বার কাজে যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
লকডাউন চললেও এখন সব সরকারি অফিস খোলাই রয়েছে। সরকারি কর্মীদের বিকেল চারটেয় ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অনেক অফিসেই সরকারি কর্মীরা রোস্টার করে অফিস করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের কেউ অসুস্থ হলে অনলাইনে ছুটির আবেদন করার পরামর্শ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, কিছু অফিসের একাংশ কর্মী ছুটি নেননি। আবেদনও করেননি। কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই অফিসে আসছেন না তাঁরা।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বিভিন্ন সরকারি অফিসেই কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গরহাজির থাকা কর্মীদের তালিকা তৈরি শুরু হচ্ছে। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক তথা মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক দীননারায়ণ ঘোষও বলেন, ‘‘না জানিয়ে কোনও কর্মী অফিসে গরহাজির রয়েছেন কি না দেখা হচ্ছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy