আসছেন মোদী
বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চালাতে রেলশহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী খড়্গপুরে আসবেন বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। তবে এখনও দিন চূড়ান্ত হয়নি। রবিবার মোদীর সভার জন্য মাঠ দেখে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। সুভাষপল্লি বিএনআর ময়দান, সেরসা স্টেডিয়াম ও চাঁদমারি ময়দান ঘুরে দেখেন বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পর্যবেক্ষক গৌতম চৌধুরী ও রাজ্য নেতা প্রভাকর তিওয়ারি। প্রাথমিকভাবে স্টেডিয়ামের মাঠ বিজেপি নেতাদের পছন্দ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খড়্গপুর সদরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হওয়ায় শহরের বাড়তি গুরুত্ব আছে গেরুয়া শিবিরে। শুক্রবার কর্মিসভায় দিলীপবাবু নিজেও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শহরে আসবেন। বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষক গৌতম চৌধুরী বলেন, “আগামী ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন বলে ঠিক রয়েছে। তাই আমরা তিনটি মাঠ দেখে গেলাম। প্রাথমিকভাবে আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব। তার পরে সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে।”
সভায় পুলিশ
বিকেল বেলায় ধর্মায় সিপিএমের কর্মিসভা চলছে। বক্তব্য রাখছেন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার। হঠাত্ পুলিশি হানা! সিপিএম নেতাদের ডেকে পুলিশ জানিয়ে দিল, মাইক বাজানো যাবে না। রাস্তার পাশে যে চোঙ লাগানো রয়েছে তা খুলে নিতে হবে। সিপিএম নেতারা তো ক্ষুব্ধ। এক নেতা জানিয়েই দিলেন, দীপকদা বক্তব্য রাখছেন। চোঙ খোলার প্রশ্ন নেই! খোলা হবেই বা কেন? প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই সভা হচ্ছে। এক পুলিশ কর্মী জানালেন, এখন পরীক্ষা চলছে। তাই মাইক বাজানো যাবে না। অন্য এক পুলিশ কর্মী জানালেন, লাইট- পোস্টে চোঙ লাগানো হয়েছে। এটাও তো বেআইনি। কেন এখানে পুলিশি হানা! খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দুপুরে ওই এলাকায় কর্মিসভা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। পরে তিনি সিপিএমের সভার কথা জানতে পারেন। কর্মীরা তাঁকে জানান, সিপিএমের সভায় মাইক ব্যবহার হচ্ছে। এরপর দীনেনবাবুর পরামর্শেই তৃণমূলের এক কর্মী পুলিশের কাছে নালিশ জানান। নালিশ পেয়ে ধর্মায় পৌঁছয় পুলিশ। অবশ্য চাপানউতরেই গড়িয়ে যায় সময়। মাইক খোলা হয় সভার শেষে।
সিপিএমে না
দলবদল করতে চলেছেন মেদিনীপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি তথা কাউন্সিলর সৌমেন খান? জল্পনা মেদিনীপুরে। রবিবার সন্ধ্যায় নিজের এলাকায় কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠকও করেন। জানতে চান, এই পরিস্থিতিতে তাঁর কী করণীয়। জোট-বিরোধী বলেই পরিচিত সৌমেনবাবু। আগে কংগ্রেসের সভাতেও জানিয়ে দিয়েছেন, সিপিএমের সঙ্গে জোট করা উচিত নয়। কংগ্রেসের একা চলাই ভাল। ইতিমধ্যে জোটের আসন রফা প্রায় চূড়ান্ত। তাই কি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চান সৌমেনবাবু? এ দিনের বৈঠকের পরও সেই জল্পনায় দাঁড়ি পড়েনি। দলবদলের জল্পনা কি ঠিক? সদুত্তর এড়িয়ে মেদিনীপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেনবাবু বলেন, “সিপিএমের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে পারব না! এর বেশি কিছু বলছি না! এখনও কর্মীদের পরামর্শ নিচ্ছি!”
কমিটি গড়ল কে!
ক্ষোভ ছিল প্রার্থী নিয়ে। তৃণমূলে এমন কোন্দল নতুন কিছু নয়। কেশিয়াড়ির দলীয় প্রার্থী পরেশ মুর্মু আদতে খড়্গপুর গ্রামীণের হরিয়াতাড়ার বাসিন্দা। ফলে তাঁকে নিয়েও ক্ষোভ ছিল। সেই আগুনে জল ঢালতে গড়া হয়েছে ২১ জনের কমিটি। এ বার সেই কমিটি গড়া নিয়েই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। রবিবার দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় দাবি বলেছেন, “সমাধান হয়ে গিয়েছে। আমি গিয়ে কমিটি গড়ে দিয়েছি। এ বার সবাই একসঙ্গে কাজ করবে।” দীনেন রায়ের কৃতিত্ব অস্বীকার করে তৃণমূলের কেশিয়াড়ি ব্লক সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, “আমরা নিজেরাই বসে ওই কমিটি গঠন করেছি। দীনেন রায় শেষে এসে চা খেয়ে চলে গিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy