বিদায়ী পুরপ্রধানের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ।
কাটমানি ফেরতের দাবি তুলে বিক্ষোভ। আর তার পরেই বুধবার তৃণমূল ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল দাঁতন ১ ব্লকের বামনবিরুয়া গ্রাম। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তৃণমূল পরিচালিত দাঁতন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি কনক পাত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও কাটমানি ফেরতের দাবি জানিয়ে এ দিন সকালে তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আগে থেকে সেখানে জড়ো করে রাখা হয়েছিল ‘বহিরাগত’ কয়েকজনকে। গ্রামবাসীরা কনকের বাড়ি ঘিরে ধরে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, এক বহিরাগতের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের দাবি, সহকারী সভাপতির সঙ্গে আশেপাশের গ্রামের কয়েকজন কর্মী দেখা করতে এসেছিলেন। বচসায় সময় এক কর্মীর বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
কনকের দাবি, ‘‘কোনও দুর্নীতি হলে সরকারিভাবে তার তদন্ত হবে। বিজেপি অহেতুক বিক্ষোভ, উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।’’ বিজেপির দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি মোশাফ মল্লিকের কথায়, ‘‘গ্রামবাসীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিজেপি জড়িত নয়।’’
এ দিন কাটমানি ফেরতের দাবিতে মেদিনীপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব বসুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। কেরানিতলা- কালেক্টরেট মোড় রাস্তার একধারেই বাড়ি বিদায়ী পুরপ্রধান প্রণব বসুর। এ দিন যুব মোর্চার মিছিল যখন ওই রাস্তা দিয়ে আসছিল, তখনই বিজেপির যুবকর্মীরা প্রণববাবুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিদায়ী পুরপ্রধানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিজেপির কয়েকজন এসে আমার বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়েছে। চলেও গিয়েছে।’’
নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুরের নয়াপুকুর এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি দিলীপ দের বাড়িতে একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার টাকা চেয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। দাঁতন ২ ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান মিলন দাস অফিসে আসেন না। প্রধানের বক্তব্য, ‘‘অফিসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি রাখেনি বিজেপি।’’
কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে গোপীবল্লভপুরে তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসী। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-২ (বেলিয়াবেড়া) ব্লকের পেটবিন্ধি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সারথী কামিল্যা। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বাড়ি-বাড়ি শৌচাগার তৈরির জন্য টাকা নিয়েছিলেন সারথীর স্বামী রঞ্জিত। রঞ্জিতের দাবি, ‘‘আমার কাছে সব তথ্য রয়েছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy