হলদিয়া বন্দরের আলোক সজ্জা। নিজস্ব চিত্র
১৮৭০ সালের ১৭ অক্টোবর কলকাতা বন্দরের সূচনা হয়েছিল। সেই হিসাব ধরেই বন্দরের দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১২ জানুয়ারি কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু কলকাতা বন্দর নয়, সাজ সাজ হলদিয়া বন্দরেও। কারণ কলকাতা বন্দরের উপরে চাপ কমাতে এবং নাব্যতার কারণে হলদিয়ায় রাজ্যের দ্বিতীয় বন্দর তৈরি হয়। তাই কলকাতার বন্দরের এমন অনুষ্ঠানে গা ভাসিয়েছে হলদিয়াও। বন্দর লাগোয়া কর্মীআবাসন, প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ার, মাখনবাবুর বাজার সংলগ্ন পার্ক আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।
কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৮০০ লোককে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। হলদিয়া বন্দরের কর্মচারী ও ঠিকা কর্মীদের পরিবারকেও এই অনুষ্ঠানে জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, ‘‘আমরা বন্দরের কর্মী ও ঠিকা কর্মীদের পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছি। অনেকেই সম্মতি দিয়েছেন। আশা করি ২৫০০-র কাছাকাছি লোক নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আগামী রবিবার কলকাতায় ওই অনুষ্ঠান।’’ তিনি জানান, অনুষ্ঠানের জন্য হলদিয়া টাউনশিপ এলাকার দুটি স্কুলের কিছু ছাত্র ছাত্রীদেরও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রস্তুতি
বন্দর এলাকা থেকে ২৫০০ জনকে নেতাজি ইন্ডোরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি ৬৬টি বাস, শাতাধিক ছোট গাড়ি। হবে হেল্প ডেস্ক আলোয় সেজেছে জওহর টাওয়ার, বন্দর হাসপাতাল, পার্ক, অতিথিশালা মোদীর সভা দেখানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে। লাগানো হবে মাখনবাবুর বাজার, জেনারেল কার্গো বার্থে
বন্দর সূত্রে খবর, লোকজন নিয়ে যাওয়ার জন্য শনিবারই কলকাতা থেকে ৬৫টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ও শতাধিক ছোট গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাঁদের নিয়ে য়াওয়া হবে তাঁদের জন্য খাবারের প্যাকেটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কারও যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য খোলা হবে হেল্প ডেস্ক ও কন্ট্রোল রুম। হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক আধিকারিক শশাঙ্ক পণ্ডিত বলেন, ‘‘এত মানুষকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিখুঁত করতে শনিবারই হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে নিয়ে আসা হবে বাস ও ছোট গাড়ি।’’
সিটু নেতা ও বন্দরের অছি পরিষদের সদস্য বিমান মিস্ত্রী জানান, কলকাতায় অনুষ্ঠানের কথা শুনেছি তবে এখনও আমন্ত্রণপত্র হাতে পাইনি। বন্দরের কাজকর্ম সচল রেখে এবং বিভিন্ন শিফট-এর কাজ চালু রেখে কতজন যেতে পারেন সেটা দেখার। সেদিনই কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন খাতে আর্থক ঘোষণা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
অমলবাবু বলেন, ‘‘১২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পেনশন খাতে ৫০১ কোটি টাকা দেওয়া কথা ঘোষণা করবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে এই ঘোষণার পর হলদিয়া বন্দর সংস্থা তাদের সারা বছরের কর্মসূচি জানাবে।’’ তিনি জানান, হলদিয়ার বন্দর সংলগ্ন পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনা রয়েছে। ১২ জানুয়ারির পর তা ঘোষণা করা হবে।
তবে শেষ পর্যন্ত হলদিয়া থেকে কতজন কলকাতা বন্দরের অনুষ্ঠানে থাকবেন তা সময়েই জানা যাবে। যদিও হলদিয়া মেলায় কলকাতা বন্দরের দেড়শো বছর পূর্তিকে তুলে ধরতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে জানিয়েছেন অমলবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy