চলছে বিক্ষোভ। হাসপাতালের সামনে। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় যোগ্যদের নিয়োগ করা হচ্ছে না। তৃণমূলের লোকজনকেও নয়। বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মী নিয়োগে এমন অভিযোগ ঘিরেই বেধেছে গন্ডগোল।
বুধবার স্থানীয় ও তৃণমূলের লোকজন হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির এক সুপারভাইজ়ারকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই সুপারভাইজ়ার। তিনি এতটাই আতঙ্কিত যে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসতে পারেননি। অভিযোগ তৃণমূলের দিকেই।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা সফরে এসে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই ধাপে ধাপে কর্মী নিয়োগ করছে সরকার নির্ধারিত নির্দিষ্ট এজেন্সি। বুধবার ২৭জনকে নিয়োগ করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয়দের নিয়োগ না করে বাইরের লোকজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে টাকা নিয়ে। সেই কাজ করছেন হাসপাতালে আগে থেকে দায়িত্বে থাকা কর্মীরাই। বুধবার এই নিয়েই মূলত গন্ডগোল বাধে। ২৭ জনের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি তথা কোম্পানি তাদের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগাযোগ করেনি। যদিও বিক্ষোভ ও হেনস্তা প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দল কিছু করেনি।
হাসপাতালে নিযুক্ত এজেন্সির এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, ‘‘আমরা নিয়োগের বিষয়ে কিছু জানি না। শুধু এজেন্সি যা দায়িত্ব দেয়, তা পালন করি।’’ বুধবার গন্ডগোল থামাতে বেলদা থানার পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। পুলিশের বক্তব্য, সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে। নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা বলেন, ‘‘দল কোনও ভাবেই নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি থাকতেই পারে। থাকাটা স্বাভাবিক। একই যোগ্যতার কর্মী যদি এলাকা থেকে পাওয়া যায়, সেখানে বাইরে থেকে কাউকে নিয়োগ করলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ হতে পারে। তবে এটা স্থানীয়দের প্রতিবাদ, দলের নয়।’’ নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্টেরও বক্তব্য, ‘‘কোম্পানি কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি। ওরা ওদের মতো বাইরের লোকজন নিয়োগ করছে।’’
হাসপাতালে নিয়োগ নিয়ে বিজেপি অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়ছে না। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘রাজ্যে এখন সব নিয়োগে ঘুষ আর কাটমানি। ওপর থেকে নীচ সবাই অভিযুক্ত। এখানেও তাই হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে হাসপাতালে অচলাবস্থা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy