Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Dev

Dev: কেন্দ্র ঘুমোচ্ছে, দিদি প্রধানমন্ত্রী না হলে নিস্তার নেই, জলে দাঁড়িয়ে মন্তব্য দেবের

এর আগে সংসদেও ঘাটালের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন দেব। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপই করছে না বলে অভিযোগ তাঁর।

ঘাটালে দেব।

ঘাটালে দেব। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২১ ১৫:৩৩
Share: Save:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবারের এই জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে না ঘাটালবাসীর। বুধবার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে ঘাটালে গিয়ে এমন কথাই বললেন স্থানীয় সাংসদ, অভিনেতা দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত না হওয়া-সহ গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেন তিনি।

একে টানা বৃষ্টি। তার উপর ডিভিসি থেকে ছাড়া জল। সব মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দলের সাংসদ-বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন নিজেদের এলাকায় গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। দেব বুধবার নিজের এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে পা রাখলেও, সচরাচর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাঁকে দেখা যায় না। কিন্তু বুধবার কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধনা করেন তিনি। দেব বলেন, ‘‘ভোটের আগে এসে অনেক বড় বড় কথা বলে গিয়েছিলেন। বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবেন, এই করবেন, সেই করবেন। অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু ভোটের পর তাঁদের কারও হদিশ মিলছে না। এত বলার পর, এত বার চিঠি দেওয়ার পরও ঘুম ভাঙেনি কেন্দ্রের। শুধু ভোটের সময় এসে বড় বড় কথা বলে চলে যান।’’

ঘাটালে দুর্গতদের সঙ্গে দেব।

ঘাটালে দুর্গতদের সঙ্গে দেব। —নিজস্ব চিত্র।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ঘাটালে ফি বছরই বন্যা হয়। পাশ দিয়েই গিয়েছে শিলাবতী নদী। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই বানভাসি অবস্থা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, কেশপুর, চন্দ্রকোনা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ১৯৮২ সালে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের সুপারিশ করা হয়। সাংসদ হওয়ার পর দেব নিজেও সংসদে বহু বার তা রূপায়ণের জন্য সওয়াল করেছেন। কিন্তু এত দিনেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন হয়নি। মমতা দেশের প্রধানমন্ত্রী না হলে, তা রূপায়ণ হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বলে বুধবার মন্তব্য করেন দেব। তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণত কারও বিরুদ্ধে এ ভাবে কথা বলি না আমি। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি, দিদি যত দিন না প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, তত দিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতেই হবে। তা না হলে, কেন্দ্রে যে সরকারই থাকুক, বিশেষ করে আজকের সরকার যদি থাকে, ঘাটালের মানুষের এই দুর্দশা ঘুচবে না।’’

ঘাটালে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। হাতের কাছে যা পেয়েছেন, তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। গত দু’দিন ধরে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কটিও জলমগ্ন। পানীয় জলের সঙ্কট সর্বত্র। বুধবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার কথা দেবের।

বন্যা পরিস্থিতিতে কেশপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষও অত্যন্ত কষ্টে রয়েছেন বলে জানান দেব। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের দিনে রাজনীতির পরিভাষা পাল্টে গিয়েছে। মানুষের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি দলই কাজ করে। যারা করে না, আজকের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের মধ্যে অন্যতম।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy