গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত ন’জনের মধ্যে সাত জনকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
মাটির বাড়ির দরজা ভেঙে মাঝরাতে দুই মহিলাকে পুকুরপাড়ে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। এই অভিযোগে মোট ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সাত জন ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। তাঁদের মধ্যে চার জনের ছ’দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘গণধর্ষণের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ন’জনকে। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথমে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে এই অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দু’জনকে বুধবার আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ডেবরা ব্লকের ২ নম্বর ভরতপুর এলাকায় দুই মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমে প্রথমে সাত এবং পরে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে ডেবরা থানার পুলিশ। ওই মহিলাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক জন। অন্য জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার ডেবরা মাড়তলা এলাকায় একটি ব্যান্ডের রিহার্সালে গিয়েছিলেন তিন মহিলা-সহ পাঁচ জন। সন্ধ্যা নাগাদ সেই রিহার্সাল শেষ হয়। তবে নিজেদের বাড়ি না ফিরে ভরতপুরের বাসিন্দা তথা ব্যান্ডের এক মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিন মহিলা-সহ ব্যান্ডের দু’জন সঙ্গী। অভিযোগ, মাঝরাতে ওই মহিলার বাড়ির দরজা ভেঙে দুই মহিলাকে পুকুরপাড়ে টেনে নিয়ে যান একাধিক যুবক-সহ এক ব্যক্তি। সেখানে তাঁদের ধর্ষণ করেন। পরে মহিলাদের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার ডেবরা থানায় গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ জানান ওই স্থানীয় মহিলা এবং ব্যান্ডের এক যুবক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তেরা বেশির ভাগই ডেবরার বাসিন্দা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এক মহিলা অসুস্থ হওয়ায় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy