প্রতীকী ছবি
দুর্গাপুজোর পরে রাজনৈতিক টক্কর এ বার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও।
তৃণমূল, বিজেপি—দু’দলের নেতা-কর্মীরাই পুজোর আয়োজন করছেন। আজ, মঙ্গলবার বহু পুজোর উদ্বোধন হওয়ার কথা। সোমবার দিনভর চলেছে তার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এ বার দুর্গাপুজো কমিটির দখল ঘিরে কলকাতায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেদিনীপুর শহরে সংঘর্ষ না হলেও উদ্বোধন ঘিরে মেদিনীপুর শহরে বিজেপি, তৃণমূলের জোর টক্কর হয়েছে। সংখ্যার বিচারে সদর শহরে অবশ্য পুজোর উদ্বোধনে এগিয়ে ছিলেন দিলীপই। রাজ্য রাজনীতিতে যে টক্কর তৃণমূল, বিজেপিতে চলছে তা বহাল জগদ্ধাত্রী পুজোতেও!
মেদিনীপুর শহরে জগদ্ধাত্রী পুজো আগেও হত। পুজোর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীদের যুক্ত থাকাও নতুন নয়। শহরে আগে থেকে যে পুজোগুলি হয়ে আসছে তার কয়েকটিতেও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। যেমন সিপাইবাজারের এক জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জয়ন্ত মাইতি। শরৎপল্লির এক জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা স্থানীয় বিজেপি কর্মী সঞ্জয় হাজরা। শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলর কংগ্রেসের সৌমেন খান, শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়েরাও বিভিন্ন পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে এ বার দু’টি নতুন জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে। একটির উদ্যোক্তা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা, অন্যটির পিছনে রয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। মেদিনীপুরে পুরসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে নতুন করে দু’টি পুজোয় যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
এ বার বঙ্গজননীর উদ্যোগে প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে শহরের রবীন্দ্রনগরের স্টেডিয়াম রোডে। এই পুজো কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি ও সভাপতি শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি স্নেহাশিস ভৌমিক। স্নেহাশিস বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনগরের ওখানে আমাদের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। আগে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে ওই এলাকা আলোকিত হত না। এই নিয়ে দলের কর্মীদের আক্ষেপ ছিল। তাই সবাই মিলে পুজো করার সিদ্ধান্ত হয়।’’ স্নেহাশিসরা শুভেন্দু-অনুগামী বলে পরিচিত।
‘জাগরণ’-এর উদ্যোগে এ বারই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে শহরের কেরানিতলায়। এই পুজো আবার বিজেপি প্রভাবিত। পুজো কমিটির সভাপতি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়, সম্পাদক দলের জেলা সম্পাদক অরূপ দাস। জগদ্ধাত্রী পুজো কেন? অরূপ বলেন, ‘‘শুধু পুজো নয়, এই সংস্থার ব্যানারে নানা সামাজিক কর্মসূচিও করব।’’ তিনি জানান, মাস খানেক আগেই জগদ্ধাত্রী পুজো করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অরূপরা দিলীপ-অনুগামী বলে পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy