টোটোয় চড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের পথে। নিজস্ব চিত্র
টোটোয় চেপে স্বচ্ছন্দে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। সঙ্গে যাচ্ছেন অভিভাবকেরাও। পরীক্ষার দিনগুলিতে এ ভাবেই বিনামূল্যে পরিষেবা দেবেন বেলদার টোটো চালকেরা। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
টোটো চালকেরা জানাচ্ছেন, প্রায় একশো দশটি টোটো এই কাজ করবে। যে টোটোগুলি এই পরিষেবা দিচ্ছে সেগুলিতে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। পরীক্ষার্থীরা সেইসব টোটোতে উঠলেই বিনামূল্যে পৌঁছে যেতে পারছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠ স্কুলে হয়েছে মাধ্যমিকের কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে আশেপাশের ছয়টি বিদ্যালয়ের মোট তিনশো নয়জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। কমিয়াচক বিদ্যাসাগর বিদ্যাভবন, নারায়ণগড় আরআরসিএলইউ নিকেতন, খাকুড়দা সীতাংশু বালিকা বিদ্যালয়, নেকুড়সেনী বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন, কালিয়াপাড়া রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবন ও দেউলী সুধীর হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। বেলদা বাসস্ট্যান্ড, কেশিয়াড়ি মোড় বাসস্ট্যান্ড, দেউলী বাসস্ট্যান্ড ও অন্যান্য এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকছে টোটোগুলি। বাস থেকে নামার পর পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছেন টোটো চালকেরা। টোটো চালক মনোজকুমার মণ্ডল, হরিপদ ঘোড়াইদের বক্তব্য, ‘‘সারাবছর আমরা টোটো চালিয়ে উপার্জন করছি। পরীক্ষার কয়েকটা দিন পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই কাজ করছি। অনেকেই অনেক দূর থেকে আসছে। তাই এই সহযোগিতা।’’
টোটো চালকদের আবার অনেকের বক্তব্য, ‘‘আমাদের বাড়িতেও পড়ুয়ারা আছে। তাদেরও তো সহযোগিতা করতে হয়। তাই সেই ভাবনা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চাই এরাও বড় হয়ে যেন মানুষকে সহযোগিতা করতে পারে।’’
বাসস্ট্যান্ড থেকে কোথাও থেকে এক কিলোমিটার, কোথাও পাঁচশো-সাতশো মিটার দূরত্বে পরীক্ষা কেন্দ্র। এই পথটাই পৌঁছে দিচ্ছেন টোটো চালকেরা। তারা হেঁটে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের ডেকে টোটোতে তুলে নিয়েছেন। পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু পৌঁছে দেওয়া নয়, সঙ্গে ভালো পরীক্ষা দেওয়ার শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন টোটো চালকেরা। তাঁদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। এক অভিভাবক দেবাশিস মিশ্র বলেন, ‘‘খুব ভাল উদ্যোগ। কষ্ট করে হেঁটে আসত হত। টোটো চালকেরা ডেকে তাদের তাদের টোটোতে তুলে কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন। তাদের ধন্যবাদ।’’ এই পরিষেবা পেয়ে খুশি পরীক্ষার্থীরাও। কোয়েল মিশ্রের কথায়, ‘‘টোটো চালক কাকুরা টাকা না নিয়েই কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন। ভাল লাগল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy