—প্রতীকী চিত্র।
কেশপুরে অ্যাম্বুল্যান্স এবং সিমেন্টবোঝাই লরির সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল সাত। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুর্ঘটনায় জখম হওয়া অপর্ণা বাগ। ১৯ বছরের তরুণীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তরুণীকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি জানান, ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ২টো নাগাদ অপর্ণার মৃত্যু হয়েছে। সুজয় বলেন, ‘‘শুক্রবার মাঝরাতে দুর্ঘটনায় নিহত ছ’জনের ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাত ৮টা নাগাদ তাঁদের দেহ ক্ষীরপাই, ঘাটাল এবং কেশপুর এলাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত অপর্ণাকে কলকাতায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা করা গেল না।’’ তিনি আরও জানান, কলকাতা থেকে মৃতার দেহ আনানো এবং ময়নাতদন্তের জন্য তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে রয়েছেন। পাশাপাশি, ওই দুর্ঘটনায় আহত আরও এক জনের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে খবর। এখন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক অভিষেক মল্লিক।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অপর্ণাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। কেশপুরের পঞ্চমীর বড়পোল এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে মারা যান অপর্ণার স্বামী শ্যামাপদ বাগ (২২), মা অনিমা মল্লিক (৪২), মামি চন্দনা ভুঁইয়া (৩২), মামা শ্যামল ভুঁইয়া (৩৬), অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মী সুরজিৎ মাঝি (২৮) এবং জিৎ দোলই (২৭)।
ঘাটালের ক্ষীরপাই পুরসভার অন্তর্গত কাশীগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামাপদের মাস দুই আগেই বিয়ে হয়েছিল ন্যাড়াদেউলের ভগবানচকের বাসিন্দা সদাগর মল্লিকের মেয়ে অপর্ণার। স্ত্রী এবং মেয়েকে হারিয়ে সদাগর বলেন, ‘‘অপর্ণার পেটে যন্ত্রণা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। দিন পাঁচেক আগে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল মেয়েকে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয় ওকে। ঘাটাল থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমি মোটরবাইক নিয়ে আগেই মেদিনীপুরে পৌঁছে যাই। তার মধ্যে খবর পাই দুর্ঘটনার।’’
কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হচ্ছে। একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy