মুষলধারায় বৃষ্টির মধ্যেই দেখা গেল টর্নেডো। তার ঝড়ে ভেঙে পড়ল বেশ কয়েকটি গাছ-সহ দোকানঘর। উড়ে গেল এলাকার হাটের দোকানের চালও। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় এবং কেশিয়াড়িতে মাত্র ২-৩ মিনিটের টর্নেডোর দাপটে বিদ্যুতের তারে গাছ ভেঙে পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে নারায়ণগড়ে প্রথমে টর্নেডোর ঝড় ওঠে। এর পর বেলা ১২টা নাগাদ টর্নেডো দেখা যায় কেশিয়াড়িতে। দু’টি জায়গাতেই ২-৩ মিনিটের বেশি তা স্থায়ী হয়নি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ওই দু’এলাকাতেই বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় এলাকায় হাটের কয়েকটি দোকানঘর ভেঙে যায়। উড়ে যায় কয়েকটি দোকানের চালাও। নারায়ণগড়ের নরমা গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনমোহন চক গ্রামে টর্নেডোতে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিডিও শুভম আগরওয়াল বলেন, ‘‘টর্নেডো ঝড়ের খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েছিলাম। বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকায় একটি হাট বসে। সেখানে বেশ কিছু দোকানের চালাও উড়ে গিয়েছে।’’
নারায়ণগড়ের পর কেশিয়াড়িতেও টর্নেডোর দাপট দেখা দেয়। কেশিয়াড়ি থানার কলাবনি এবং দেষণ্ডা এলাকায় টর্নেডোর ঝড় হয়। টর্নেডোতে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন কেশিয়াড়ির বিডিও সূর্যকান্ত অট্ট। তবে বেশ কিছু দোকানের চালা ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু বলেন, ‘‘টর্নেডো দেখে অনেকেই মোবাইল বন্ধ করে ফেলেন। ঝড়ের জেরে বিদ্যুতের লাইনের উপর বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়ে। যার জেরে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তা দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘জেলায় দু’টি জায়গায় টর্নেডো ঝড় হলেও বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও মুষলধারায় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেখানে কয়েকটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শনের জন্য অতিরিক্ত জেলা শাসকদের পাঠানো হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে জেলায় এখনও পর্যন্ত ৪ জন মারা গিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy