প্রদীপ সরকারের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে নাটক। — ফাইল ছবি।
ইস্তফাপত্র নিয়ে গেলেন বটে, কিন্তু তা গৃহীত হল না। খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের ইস্তফাপত্র আইনি জটিলতার কারণেই গ্রহণ করা হয়নি। পুরসভায় কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকে ইস্তফা দিতে হবে। তার পরেই গৃহীত হবে ইস্তফাপত্র। এমনটাই জানিয়েছেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক দিলীপ মিশ্র।
প্রদীপ জানিয়েছেন, দলের নির্দেশ মেনেই বুধবার মহকুমাশাসকের কাছে ইস্তফাপত্র দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মহকুমাশাসক তাঁকে জানান, পুর আইন অনুযায়ী কাউন্সিলরদের বৈঠকে ইস্তফা গৃহীত হওয়ার পরেই ওই পদ থেকে সরা যায়। এ জন্য প্রদীপকে ৭ দিন সময়ও দেওয়া হয়েছে। পরে মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘প্রদীপ সরকার এসেছিলেন ইস্তফাপত্র জমা দিতে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ৭ দিনের মধ্যে বোর্ড অব কাউন্সিলর্সদের বৈঠক ডাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি জেলাশাসককেও জানিয়েছি।’’
ইস্তফা দিতে এসেও ইস্তফা দিতে না পেরে প্রদীপ বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ মেনে ইস্তফা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুরসভার আইনের বই দেখার পর মহকুমাশাসক জানালেন, পুরসভায় সব কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে তার পর ইস্তফা দিতে হবে। আগামী মঙ্গলবার কাউন্সিলরদের বৈঠক আছে। সেখানে আবার ইস্তফা দেব।’’
সম্প্রতি খড়্গপুর পুরসভায় ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার পরেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ইস্তফা দিতে হবে প্রদীপকে। সোমবার পর্যন্ত সময় নেন প্রদীপ। কিন্তু সোমবার পেরিয়ে গেলেও পুরসভায় জমা পড়েনি প্রদীপের ইস্তফাপত্র। মঙ্গলবার রাতে প্রদীপকে ফোন করেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। বুধবার দুপুর ২টোর মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সেই মতো বুধবার দুপুর ২টো বাজার খানিক আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিতে যান প্রদীপ। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy