বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমবায় জয়। প্রতীকী চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনেই পটাশপুরে পরপর দুটি সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। একটি সমবায়ে বিরোধীরা তিনটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে। অন্যটিতে ফের বিরোধীরা মনোনয়নই জমা দেননি। এলাকায় শাসকের সন্ত্রাসে মনোনয়ন দেওয়া যায়নি বলেই দাবি বিরোধীদের।
জেলায় কোথাও বিরোধীরা একজোট হয়ে তৃণমূলকে সমবায় নির্বাচনে পরাস্ত করছে। কোথাও তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিরোধীদের দুরমুশ করার ছবি সামনে এসেছে। যদিও সমবায় নির্বাচনে পটাশপুরে এর কোনওটাই দেখা গেল না। এ ক্ষেত্রে বিরোধীরা সমবায় ভোটে প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীরা। দলনেত্রীর জেলা সফরের দিনেই দুটি সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় স্বাভাবিক ভাবে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। পটাশপুর-২ ব্লকের আড়গোয়ালের সাতসতমাল গ্রামসভা মহসীন সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ১২টি আসনে ১৭ মার্চ মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছিল। ২০ মার্চ ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। সমবায় সমিতির মোট ভোটার ৬৮০ জন। অভিযোগ, সমবায় নির্বাচনে বিরোধীরা মনোনয়নপত্র তুলতেই আসেনি। সোমবার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত ১২ জন প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সমবায় ভোটে বিরোধী বামেরা প্রার্থী দিলেও নিরশঙ্কু ভাবে বোর্ড গড়ে তৃণমূল। এই নিয়ে তিনবার সমবায় দখলে রাখল তৃণমূল। অপরদিকে পটাশপুরের সাউৎখন্ডে পঞ্চগ্রাম সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনে ১০ এপ্রিল নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ মার্চ মনোনয়নপত্র তোলা হয়। মনোনয়ন জমা ও প্রত্যাহারের সময় ছিল ২৪ এপ্রিল। অভিযোগ, বাম ও বিজেপি তিনটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েও পরবর্তীতে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে। ফলে ১২টি আসনই বিরোধীশূন্য হয়ে রয়েছে। ১০ এপ্রিল নির্বাচনের আগেই একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমবায়ে জয় পেতে চলেছেন তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীরা। শাসকের সন্ত্রাসেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি পাল্টা দাবি বিজেপির।
পটাশপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দুর্গাপদ পাহাড়ী বলেন, ‘‘বিরোধীরা এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন। তাদের সংগঠন নেই। ফলে সমবায় নির্বাচনে তারা প্রার্থী খুঁজে পায়নি। এখন মিথ্যা সন্ত্রাসের নাটক করছে।’’ কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের দাবি, ‘‘নির্বাচনের আগে থেকে এলাকায় বিরোধীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি, শাসানি দেয় তৃণমূলের লোকজন। এখনও এলাকায় বিরোধীরা ঘরছাড়া। শাসকের সন্ত্রাসের ভয়ে সমবায় নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy