হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের ভোটে জয় তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র।
শিল্পশহর হলদিয়ায় জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। হলদিয়ার ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির ভোটে ১৮টি আসনের সব ক’টিই পেয়েছে তৃণমূল। গত বার বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে ওই পরিচালন সমিতির বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। তখন এই এলাকায় দাপট ছিল তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এ বারের নির্বাচনে সবগুলি আসন জয় করে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন প্রভাবিত প্যানেল। যদিও বিজেপি এই নির্বাচনকে তাঁদের ‘নৈতিক জয়’ হিসাবেই দেখছে। ১৮টি আসন ছাড়া সহ-সভাপতির পদটি দখল করেছে সিটু।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তাপস মাইতির দাবি, ‘‘১৮টি প্যানেলের সব ক’টি আসনেই জয় পেয়েছি আমরা। তবে একটি রিজার্ভ ক্যাটেগরিতে সামান্য ভোটে হেরেছি।’’ তাঁর মতে, ‘‘পুনর্নির্বাচনগুলিতে যে ভাবে বিপুল ভোটে তৃণমূল জিতেছে তার প্রভাব পড়েছে এই ভোটে।’’ তাপসের বক্তব্য, ‘‘এই নির্বাচনে আরও একটি প্যানেল নিজেদের ‘তৃণমূল’ বলে দাবি করেছিল। ওরা আসলে অনুগামী। তারা তৃণমূলের অনেকটাই ক্ষতি করেছে। রিজার্ভ ক্যাটাগরিতে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়েছে।’’
গত কয়েক দিন ধরেই হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছিল শিল্পশহরে। প্রতি দু’বছর অন্তর এই নির্বাচন হয়। পরিচালন সমিতির ১৮ সদস্যের ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করেন মোট ৯৫৪ জন ভোটার। এর মধ্যে বন্দরের আধিকারিক রয়েছেন ১৮৬ জন। এ ছাড়াও সহ-সভাপতির একটি আলাদা আসনও রয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা প্রায় ৩৬৫ জন। সিটু’র সদস্য প্রায় ১৪১ জন। বিজেপি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সদস্য প্রায় ৭০ জন।
বন্দরের বিজেপি-র শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রদীপ বিজলীর দাবি, ‘‘এই ভোটে তৃণমূলের জয় হয়নি, পরাজয় হয়েছে। ওদের ৩৬৫ সদস্য, অথচ ভোট পেয়েছে ৩০০-র কম।আর বিজেপির ৭০জন সদস্য। অথচ আমরা ভোট পেয়েছি ২০০ থেকে ২৫০টি। ওরা মানুষকে ধমকে চমকে ভোট করিয়েছে।’’
বিজেপি-র সুরে সুর মিলিয়ে সিটু নেতা বিমান মিস্ত্রিরও অভিযোগ, ‘‘সর্বশক্তি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল বলেই এবার তাঁরা সব আসনে জয়লাভ করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy