পেরিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এক মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এখনও অধরা। সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে পথে নামল শাসক দল। অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিল করল তৃণমূল। পাল্টা আঙুল তুলল বিজেপির দিকে।
অভিযুক্ত অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দলের যে বিধায়কের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে এলাকায় পরিচিত, সেই সূর্যকান্ত অট্টের নেতৃত্বে মিছিল হয় মঙ্গলবার। তৃণমূলের নেতারা দাবি করেন, ওই অঞ্চল সভাপতিকে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে। বিধায়কও বলেন, “আমাদের ওই অঞ্চল সভাপতিকে ফাঁসানোর জন্য আগে থেকেই বিজেপি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিল।” বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের কটাক্ষ, “ওই তৃণমূল নেতার বাড়বড়ন্ত বিধায়কের জন্যেই। তিনি ধরা পড়লে, বিধায়কের কুকর্ম প্রকাশ্যে আসবে। তাই মিছিল করতে হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় বিএনএসের একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬৪ (ধর্ষণ), ১২৭ (২) (অন্যায় ভাবে আটকে রাখা) ইত্যাদি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেল না কেন? জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পেলে অবশ্যই গ্রেফতার করা হত। এখনও পর্যন্ত অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।”
অভিযুক্ত নেতা এ দিনও এলাকায় ছিলেন। তবে দলের মিছিলে দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর বক্তব্য, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও এমন ঘটেছিল। ফের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত ভাবে এটা করল বিজেপি।” কেন বার বার অভিযোগ? নেতার দাবি, “আমার অঞ্চল থেকে বরাবর বেশি ব্যবধানে এগিয়ে যায় তৃণমূল। তাই আমি নিশানা।”
এ দিন সকালে নির্যাতিতার বাড়ির এলাকার থানা ঘেরাও করে সিপিএম। স্মারকলিপি দেওয়া হয় পুলিশকে। সিপিএমের জেলা নেতা তাপস সিংহ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
সোমবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই মহিলাকে কল্যাণী এমসে ভর্তি করেছেন তাঁর স্বামী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসতে সময় লাগবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)