বীরসিংহে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিমন্দির (ছবি: কৌশিক সাঁতরা)।
ঈশ্বরের জন্মভিটে। সেখানে আর কিছুক্ষণ পরে আসবে জোয়ার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বীরসিংহ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের বাইরে দেদার আড্ডায় মাতলেন মন্ত্রী, নেতারা। এল দুর্গা, গণেশ, কার্তিকের প্রসঙ্গ। বীরসিংহের সিংহশিশুর মূর্তি ভাঙা কিংবা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান— গাছের তলায় কুঁয়োর পাড়ে হাল্কা মেজাজে চলল খুনসুঁটিও।
রবিবার দিনভর ছিল নব জোয়ার কর্মসূচি। চন্দ্রকোনায় রোড শোয়ে অভিষেকের সঙ্গেই ছিলেন দুই মন্ত্রী আর তিন নেতা। অভিষেক বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে ঢোকার আগেই চলে আসেন তাঁরা। মন্দিরের একপাশে বসে অপেক্ষার মাঝেই নবজোয়ারের সাফল্য নিয়ে শুরু হল আলাপচারিতা। জানা গেল, সর্বোচ্চ নেতার পারিবারিক পরিসর সম্পর্কিত তথ্য নেই এক মন্ত্রীর কাছে। অথচ সেই মন্ত্রী ওই নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।
মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জেলার এক শীর্ষ নেতা বললেন, ‘‘কী গো। এই খবরটা জানো না। তুমিই তো সব। আর এই খবরটা তোমার কাছে নেই!’’
মন্ত্রীর জবাব: ‘‘আমি কী আর সব। তুমি তো গণেশ। মায়ের হাত তোমার মাথার উপরে আছে।’’
জেলার শীর্ষ নেতা: ‘‘সে তুমি যাই বলো না কেন। এ খবরটা তোমার জানা উচিত ছিল।’’
মন্ত্রী: ‘‘ধুস! তুমি গণেশ। আর আমি তো কার্তিক সেজে বসে রয়েছি।’’
রীতিমতো হাসির ছলেই চলছিল কথাবার্তা। জেলার মেজো, সেজো নেতারা মাঝে মধ্যে এসে যোগ দিচ্ছিলেন আড্ডায়। কিছুক্ষণ থেকে ফের চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পাঁচ নেতা-মন্ত্রী ঠাঁইনাড়া হননি এক মিনিটের জন্যও। কার্তিক, গণেশের প্রসঙ্গ শুনে আড্ডাবাজ অনেকের মুখেই তখন মুচকি হাসি। আলোচনা দ্রুত বইল অন্য খাতে। এল কলেজ স্ট্রিটে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ।
জেলার শীর্ষ নেতা: ‘‘তোমাদের মনে আছে, সে সময়ে (বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার সময়) আমি কী করেছিলাম। (বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দির ধোয়ার স্মৃতি রোমন্থনে উজ্জ্বল হল চোখমুখ)
মন্ত্রী: ‘‘এরা (বিজেপি) বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবে। আবার মুখে বড় বড় কথা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এক নেতা যে এত বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেল কী হল। যতটুকু যা হয়েছে তা করেছে আমাদের সরকার।’’ আলোচনায় ইতি পড়ল জোয়ার আসার বার্তায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy