তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। —ফাইল চিত্র।
আবার ঘাটাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদে তৃণমূল সাংসদ দেব। লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই পদ-সহ তিনটি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তার পর অভিনেতা-সাংসদের একের পর এক মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয় তাঁর রাজনৈতিক সফর নিয়ে। আর ভোটে লড়বেন কি না, সে নিয়েও শুরু হয়েছিল চর্চা। শেষমেশ অবশ্য প্রার্থী হন দেব। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে তৃতীয় বার ঘাটাল থেকে সাংসদ হন দেব।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের জারি হওয়া একটু নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে সাংসদ দেব ঘাটাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হলেন। এই প্রসঙ্গে সাংসদের প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, ‘‘রাজ্য থেকে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। খুব শীঘ্রই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন সাংসদ দেব।’’
বস্তুত, একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। ওই ক্লিপ সামনে এনে দেবের বিরুদ্ধে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। বিজেপি দাবি করে, অডিয়োর কণ্ঠস্বরটি ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের। যদিও শঙ্কর সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়েছে ওই অডিয়ো। ওই কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। এর মধ্যে রোগী কল্যাণ সমিতির পদ ছেড়ে দেন দেব। ইস্তফাপত্রে তিনি কোনও কারণেরও উল্লেখ করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ঘাটালে বাংলা সিনেমার সুপারস্টার দেবকে প্রার্থী করে চমক দেন মমতা। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্টের সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানাকে পরাজিত করে সাংসদ হন ঘাটালের ভূমিপুত্র। ২০১৯ সালে প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার জয়ী হন দেব। কিন্তু ঘাটাল থেকে মাঝেমধ্যেই দেবের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের বিবাদের খবর প্রকাশ্যে আসে। তাই এ বার লোকসভা ভোটের অনেক আগেই ফের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। যদিও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃতীয় বার লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ হন দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy