Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রেলশহরে বইমেলার উদ্বোধনে গরহাজির নতুন বিধায়ক 

শীতের কনকনে ঠান্ডায় শনিবার ভিড় জমছিল খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসন প্রাঙ্গণে। সেখানেই স্মরণিকা প্রকাশ, উদ্বোধনী সঙ্গীতের সঙ্গে সাহিত্যিক অনিল ঘোড়াই স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করে শুরু হল ২০তম খড়্গপুর বইমেলা!

বইমেলার উদ্বোধনে  পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র

বইমেলার উদ্বোধনে পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩০
Share: Save:

রেলশহরের বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অথচ সেখানেই অনুপস্থিত থাকলেন খড়গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার। বইমেলার উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, উপস্থিত থাকবেন প্রদীপ। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই বোঝা যায়, তিনি আসেননি। কেন অনুপস্থিত তিনি? প্রদীপের কথায়, ‘‘বাইরে ছিলাম, উদ্বোধনের পরে শহরে ফিরেছি। অন্য কোনও একদিন বইমেলায় যাব।’’

শীতের কনকনে ঠান্ডায় শনিবার ভিড় জমছিল খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসন প্রাঙ্গণে। সেখানেই স্মরণিকা প্রকাশ, উদ্বোধনী সঙ্গীতের সঙ্গে সাহিত্যিক অনিল ঘোড়াই স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করে শুরু হল ২০তম খড়্গপুর বইমেলা! মানস-গৌতম-নারায়ণ চৌবে মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সহযোগিতায় খড়্গপুর বইমেলা কমিটির ব্যবস্থাপনায় এই মেলার উদ্বোধন করেন চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ছিলেন সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারি, গীতা ডোগরে, স্বামী শুভকরানন্দ প্রমুখ। মিশ্র সংস্কৃতির রেলশহরে বইপ্রেমীদের জন্য বই কিনতে এ বার প্রায় ৭০টি স্টল উপহার দিয়েছে খড়্গপুর বইমেলা কমিটি। মেলা চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে প্লাস্টিক বর্জন ও জল সংরক্ষণের বার্তা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে অনিল ঘোড়াই স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয় জেলার কবি লক্ষ্মীকান্ত ঘোষকে। এ দিন উদ্বোধনের পরে চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বলেন, “খড়্গপুর শহরে এই বইমেলা ২০ বছরে পা দিয়েছে, এটা গর্বের বিষয়।”

২০০০ সালে মাত্র ১৮টি স্টল নিয়ে শুরু হয়েছিল খড়গপুর বইমেলা। দিন যত এগিয়েছে, বেড়েছে মেলার বহর। বইমেলায় এসেছেন সুচিত্রা ভট্টাচার্য, মহাশ্বেতা দেবী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, হর্ষ দত্তের মতো কবি-সাহিত্যিক। নচিকেতা চক্রবর্তী, অনুপম রায়, মমতা শঙ্কর থেকে আকৃতি কক্করের, অভিজিৎ, রূপম ইসলাম, কুমার শানুর মতো সংাস্কৃতিক জগতের ব্যক্তিত্বকে এনে ভিড় টেনেছে বইমেলা। মেলা কমিটির অন্যতম সদস্য তথা সঞ্চালক অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেলা দু’বছর আগে সাবালক হয়েছে। এই মেলা শহরের সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারাকে টিকিয়ে রেখেছে। মেলাকে বাঁচাতে নবীনদের এগোতে হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Book Fair Kharagpur MLA Pradip Sarkar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy