Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চেয়ার ছেড়ে মেঝেতে!

সদুত্তর এড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মেঝেতে বসে দলের কর্মী- সমর্থক, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে!’’

খড়্গপুরে প্রচারে অজিতরা।

খড়্গপুরে প্রচারে অজিতরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

খড়্গপুরে উপ-নির্বাচনের জনসংযোগে বেরিয়ে কখনও ঘরের মেঝে, কখনও ঘরের বাইরে ত্রিপল বিছানো মাটিতে বসছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এর পিছনেও কি ‘টিম-পিকে’র পরামর্শ রয়েছে? জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, খড়্গপুরে তৃণমূলের প্রচার কৌশল নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা।

সদুত্তর এড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মেঝেতে বসে দলের কর্মী- সমর্থক, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে!’’ দলের এক সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই রেলশহরে এক কর্মী বৈঠকে অজিত মনে করিয়ে দিয়েছেন, ঘরে বসে রাজনীতি হয় না। বিশেষ করে ভোটের সময়ে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেতে হবে। মানুষের ঘরে গিয়ে খাটিয়ায় বসে কথা বলতে হবে। সূত্রের খবর, খড়্গপুরে এসে অজিতের সঙ্গে কথা বলেছেন ‘টিম-পিকে’র লোকজন। তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার-সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ওই টিমের তরফ থেকে তৃণমূল নেতাদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই মেনেই প্রচার চলছে।

তৃণমূলের এক সূত্র আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, এ বারের লোকসভা ভোটের দলের খারাপ ফলের পরে জনবিচ্ছিন্নতা নিয়ে দলের একেবারে শীর্ষস্তরে আলোচনা হয়েছিল। পরে দলের নেতাকর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথে বুথে, চায়ের দোকানে, খাটিয়ায় বসে মানুষের কথা শোনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তৃণমূলনেত্রীর বার্তা ছিল, ‘কেউ দলকে ভুল বুঝে থাকলে তাঁদের কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে। তাঁদের কথা শুনতে হবে।’

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা জানাচ্ছেন, বুথ ভিত্তিক সংগঠন গড়ে ভোটে নামা বিজেপির কর্মসূচি। তাদের দলে ভোটার তালিকার প্রতিটি পাতা ধরে দলের একেকজনকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। এঁদের বলা হয় ‘পন্না প্রমুখ’। খড়্গপুরেও ইতিমধ্যে ‘পন্না প্রমুখ’ নিয়োগ করা হয়েছে বলে বিজেপির এক সূত্রে খবর। তৃণমূলও সেই কৌশলই নিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন, মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে না পারলে বিজেপির ‘গড়’ বলে পরিচিত খড়্গপুরে জেতা মুশকিল। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য খড়্গপুরে জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘প্রচারে দারুণ সাড়া মিলছে। খড়্গপুরে এ বার আমরা জিতবই!’’ তবে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের কটাক্ষ, ‘‘কেউ স্বপ্ন দেখতেই পারেন! তবে ভোটের আগে মেঝে, মাটি-যেখানে গিয়েই বসুক, লাভ হবে না! বিজেপি বিপুল ভোটে জিতবে!’’ নিজস্ব চিত্র

অন্য বিষয়গুলি:

Didi Ke bolo Prashant Kishor TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy