Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
শুভেন্দু সমীকরণেই কি সক্রিয় প্রদীপ
TMC

তেলুগু মন পেতে দরবার

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তেলুগুদের অধিকারের দাবিতে দরবার করেছেন প্রদীপ। শহরের বিধায়ক ছাড়াও তিনি জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর। সোমবার মেদিনীপুরে সার্কিট হাউজ়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খড়্গপুরের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় ওঠে তেলুগু প্রসঙ্গ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১১
Share: Save:

রেলশহরের ভোটে নির্ণায়ক হয় তেলুগু ভোট। সেই অঙ্কে গত বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পরে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানান তেলুগুরা। আশ্বাস মিললেও দাবি পূরণ হয়নি। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু-তৃণমূল দূরত্বের আবহে তাই সমীকরণও পাল্টাচ্ছে। তেলুগু মন জয়ে এ বার আসরে খড়্গপুরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার।

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তেলুগুদের অধিকারের দাবিতে দরবার করেছেন প্রদীপ। শহরের বিধায়ক ছাড়াও তিনি জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর। সোমবার মেদিনীপুরে সার্কিট হাউজ়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খড়্গপুরের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় ওঠে তেলুগু প্রসঙ্গ। রেলশহরে যে প্রায় ৩৫শতাংশ তেলুগু রয়েছেন এবং তাঁদের উপরে যে জয়-পরাজয় নির্ভর করে, নেত্রীকে জানান প্রদীপ। বিধানসভা উপ-নির্বাচনে খড়্গপুরে তৃণমূলের প্রথম জয়ে তেলুগু সমর্থন কাজ করেছে, মনে করে রাজনৈতিক মহলও। তবে দীর্ঘ লড়াইয়েও তেলুগুরা ভাষাগত সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি পায়নি। ফলে, রেলশহরে শিক্ষা থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অধিকারে তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন। প্রদীপ বলেন, “বহু বছর কংগ্রেস তেলুগুদের ভোটে জিতেছে। অথচ ওঁদের এই অধিকার পূরণের কথা ভাবেনি। তেলুগু ভোট অবশ্যই শহরের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা জেতার পর থেকেই তেলুগুদের দাবি পূরণে সচেষ্ট। আগে বিষয়টি দু’বার দিদিকে বলেছিলাম। এ বার বিস্তারিত আলোচনা করেছি। দিদি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলেছেন।”

উপ-নির্বাচনে প্রদীপের জয়ের কারিগর ছিলেন শুভেন্দু। প্রচারে শুভেন্দু নিজেকে রেলশহরের ‘গ্যারান্টার’ বলেছিলেন। জয়ের পরেও তেলুগুদের ধন্যবাদ জানাতে গত ফেব্রুয়ারিতে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। তখন শুভেন্দুও তেলুগুদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। অবশ্য সুরাহা হয়নি। এ দিকে, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে শুভেন্দুর সঙ্গে এখন রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিস্তর দূরত্ব। এই আবহে তেলুগুরা ফের সরব হচ্ছেন। তাঁদের দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশের জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে গৃহীত হয় না। ফলে, রাজ্যের তেলুগু মাধ্যম স্কুলে সংরক্ষিত বহু শূন্যপদে নিয়োগও হয় না। শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে খড়্গপুরের ৩টি-সহ রাজ্যের ৭টি হাইস্কুল। বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় একজন শিক্ষক দিয়ে চালাতে হচ্ছে। ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবে ব্যক্তিগত সুরক্ষার অধিকারও রয়েছে তাঁদের দাবির মধ্যে। অন্ধ্র ইয়ং মেন অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কারড়ি তারকেশ্বর রাও বলেন, “রাজ্য উদাসীন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরে আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু দাবি পূরণ হয়নি। এ বার আদালতে যাব ঠিক করেছিলাম। কিন্তু বিধায়ক খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি পৌঁছেছেন। তাঁর মাধ্যমেই মুখ্যমন্ত্রীকে দাবিপত্র পাঠাচ্ছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

Telegu community Kharagpur TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy