প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্য মাত্রা পেল ঝাড়গ্রাম বিধানসভার অধীন লালগড় ব্লকের বিনপুর অঞ্চলে। এক গোষ্ঠীর বিরোধিতায় অন্য গোষ্ঠী তুলল বিজেপি-যোগের অভিযোগ।
দলের কাজকর্ম পরিচালনায় শুক্রবার বিশেষ অন্তর্বর্তী অঞ্চল কমিটি গড়েন তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি শ্যামল মাহাতো। কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে যুব তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি জলধর পণ্ডাকে। বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার অনুগামীদের দাবি, চাপিয়ে দেওয়া অঞ্চল কমিটি মানবেন না। লিখিতভাবে ব্লক সভাপতি ও জেলা সভানেত্রীকে তা জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে অঞ্চলের ১৩টির মধ্যে ১১টি বুথের দলীয় সভাপতি স্বাক্ষর রয়েছে।
সুকুমার অনুগামীরা শনিবারই দাবি করেন, পূর্বতন কমিটির সদস্য এবং ১৩টি বুথের কর্মীদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে নতুন কমিটি গড়তে হবে। না হলে তাঁরা দল ছাড়বেন। রবিবার বিনপুর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি যদুনাথ কিস্কু পাল্টা চিঠি দিয়ে ব্লক সভাপতিকে জানালেন, যাঁরা সংবাদমাধ্যমে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই এ সব করছেন। তাঁরা গেলে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত হবে।
সুকুমারের বিরোধী বলেই পরিচিত যদুনাথ। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে মন কষাকষিতে গত বছর থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তাঁর দেওয়া চিঠিতে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ ৭১ জন তৃণমূল কর্মীর স্বাক্ষর রয়েছে।
গত বছর ভোটে বিনপুর পঞ্চায়েতে জিতেছে বিজেপি। সুকুমারের সঙ্গে জলধর ও শ্যামলের সম্পর্কও ভাল নয় বলেই দলের অন্দরে খবর। জলধরের এলাকা কুই গ্রামে ‘দিদিকে বলো’য় বিধায়ক গেলেও জলধরকে ডাকা হয়নি। ব্লক সভাপতিও ছিলেন না। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বিরবাহা সরেনের অবশ্য দাবি, ব্লক সভাপতি তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করেই নতুন অন্তর্বর্তী অঞ্চল কমিটি গড়েছেন। যদুনাথ বলছেন, ‘‘বিধায়ক সবাইকে নিয়ে চললে এমন পরিস্থিতি হত না।’’ আর সুকুমারের বক্তব্য, ‘‘চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আছি। ফিরে গিয়ে সব ঠিক করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy