Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
TMC-BJP Clash

হাতাহাতি, চেয়ার ছুড়ে মার! মহিষাদলে সমবায়ের অনুষ্ঠানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, জখম কয়েক জন

সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সমবায়ের শতবর্ষ উদ্‌যাপন। মহিষাদলের কেশবপুরের জালপাই সমবায়েও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে গন্ডগোল।

—ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মহিষাদল শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯
Share: Save:

সমবায়ের অনুষ্ঠানে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। অনুষ্ঠান চলাকালীন চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতিতে জড়ালেন দু’পক্ষের লোকেরা। এই ঘটনায় কয়েক জন জখম হয়েছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শাসকদল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে।

সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সমবায়ের শতবর্ষ উদ্‌যাপন। মহিষাদলের কেশবপুরের জালপাই সমবায়েও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী-সহ ব্লক ও জেলা স্তরের প্রশাসনিক ও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিজেপি পরিচালিত ইটামগরা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস। দুপুর নাগাদ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরেই রামকৃষ্ণ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে মঞ্চের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের থামানোর চেষ্টা হলেও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান। অভিযোগ, এর পরেই পুলিশের সামনে বিক্ষোভকারীদের উপর চেয়ার নিয়ে চড়াও হন কয়েক জন। মুহূর্তে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

বিজেপির দাবি, হামলার জেরে গুরুতর জখম হয়েছেন রামকৃষ্ণ-সহ বেশ কয়েক জন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তেরপেখ্যা কাপাসএড়্যা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। মহিষাদলের এই সমবায়ে গত নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। যার জেরে বিবাদ অনেক দিন ধরেই চলছিল। রামকৃষ্ণের দাবি, ‘‘এলাকার মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাদ রেখে বহিরাগতদের নিয়ে এসে শতবর্ষ প্রাচীন সমবায়ের অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের সামনেই এলাকাবাসীদের বেধড়ক মারধর করা হল। আমি ছাড়াতে গেলে ওরা আমার উপরেও হামলা চালায়। যারা এই নারকীয় হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন করা ব্যবস্থা না নিলে আমরা বড়সড় আন্দোলনে নামব।’’

পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক তিলক বলেন, ‘‘সমবায়ের অনুষ্ঠানে কাকে ডাকা হবে, তা স্থির করে সেখানকার নির্বাচিত বোর্ড। শতাব্দীপ্রাচীন এই সমবায়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন যে ভাবে অশান্তি ছড়ানো হল, তা নজিরবিহীন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘বিজেপি তো এখন সব জায়গায় গন্ডগোল করছে। বিরোধী দলনেতার নির্দেশেই গুটিকয়েক লোক এ সব করেছে। সাধারণ মানুষ দেখুন, কাদের তাঁরা পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এনেছেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy