জুনপুটে নির্মীয়মাণ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
শাসকদলের নেতার উদ্যোগে আয়োজন করা হল জুনপুটে নির্মীয়মাণ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের প্রতিবাদ কর্মসূচি। গড়ে উঠল জুনপুট ভূমি রক্ষা কমিটি। আর সেই অরাজনৈতিক মঞ্চে একসঙ্গে হাজির হলেন কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের দুই জনপ্রতিনিধি।
রবিবার বিকেলে কাঁথির জুনপুটে একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। নির্মীয়মাণ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটি তৈরি করা হয়। সভাপতি মনোনীত হন স্থানীয় মৎস্যজীবী দীপক পট্টনায়ক। যদিও, এ দিন প্রতিবাদ কর্মসূচির মূল সংগঠক ছিলেন আমিন সোহেল। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির (বিজেপি পরিচালিত কাঁথি-১) বিরোধী দলনেতা, পাশাপাশি তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক এবং শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বটে। আমিনের সঙ্গে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ কুণ্ডু।
কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ে তুলছে কাঁথির জুনপুটে। জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। গড়ে উঠেছে লঞ্চিং প্যাড। ইতিপূর্বে, ভূমি দফতর এবং ব্লক প্রশাসন সমীক্ষা করে জানিয়েছে কাঁথি-১ ব্লকের বিরামপুট ও দেশপ্রাণ ব্লকের চেচড়াপুট গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ডিআরডিওর কাছে। চলতি মাসের শেষে অথবা মার্চ মাসের গোড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ হতে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছিল। ওই দিন সাময়িক ভাবে স্থানীয়দের সরানোর কথা।
দিন কয়েক আগে মন্দারমণিতে একটি অনুষ্ঠানে যান রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, "যতদূর জেনেছি তাতে ডিআরডিও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলে মাছ কিংবা মৎস্যজীবীদের সে রকম ক্ষতি হবে না।" তা হলে স্থানীয়রা কেন আন্দোলন করছেন? মৎস্যমন্ত্রীর জবাব, "কেউ আন্দোলন করতেই পারেন।’’ মৎস্যমন্ত্রীর সেই দাবির পরেও আমিনের উদ্যোগে এ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি তৃণমূল প্রভাবিত কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সভাপতি। তার সঙ্গে এক মঞ্চে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের হাজির হওয়াতে অবাক হচ্ছেন এলাকার মৎস্যজীবীরা। আমিন এবং প্রদীপ দু’জনেরই বক্তব্য, "ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিরুদ্ধে নই। গরিব মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার স্বার্থে আমরা চাই বিকল্প জায়গাতে গড়ে উঠুক প্রকল্প।"
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অরূপ দাস বলছেন,"ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র গড়ে উঠলে মৎস্যজীবীদের কোনো ক্ষতি হবে না। আমাদের দলের জনপ্রতিনিধি সেখানে গঠনমূলক বার্তা দিয়েছেন। তবে তৃণমূলের যিনি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছেন। যদি উনি মনে করেন এই প্রকল্প ক্ষতিকারক তাহলে জুনপুটে কেন জমি দেওয়া হল তাঁর দল এবং রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করুন।" তবে, আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠন কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী ইউনিয়ন। সংগঠনের সভাপতি দেবব্রত খুটিয়া বলছেন, "কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মৎস্যজীবীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে করা হলেও মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার স্বার্থে আলোচনা করেই করা উচিত ছিল।"
নাবালিকা উদ্ধার
এগরা: অপহৃত এক নাবালিকাকে পুলিশ উদ্ধার করল। গত সপ্তাহে বালিঘাই এলাকা থেকে এক নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ আসে থানায়। তদন্তে নেমে রবিবার অপহৃত নাবালিকাকে এগরা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy