Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
manas bhunia

গেরুয়া ছোঁয়াচ, ঈশ্বরের জন্মস্থানে গঙ্গাজল তৃণমূলের

বরাবরই বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বীরসিংহে পৃথক অনুষ্ঠান হয়। এমনিতে ২৬ সেপ্টেম্বর জন্মদিন পালন করেন অনেকে। আবার বাংলা তারিখ মতে ১২ আশ্বিন ধরে ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হয়।

বীরসিংহ গ্রামে সরকারি অনুষ্ঠান ।

বীরসিংহ গ্রামে সরকারি অনুষ্ঠান । ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৯
Share: Save:

দুর্গাপুজোর চতুর্থীতেও ঈশ্বরকে নিয়ে দড়ি টানাটানি চলল।

বাংলা তারিখ মতে বৃহস্পতিবার (দুর্গাপুজোর চতুর্থীও বটে) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৩ জন্মজয়ন্তী পালিত হল বীরসিংহে। সরকারি ভাবেও দিনটি পালন করা হয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিল বিজেপিও। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনীতি পিছু ছাড়ল না বিদ্যাসাগরকে। তাঁকে স্মরণ করে অন্য কর্মসূচি করলেও বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বিজেপির উপস্থিতি আগে সে ভাবে চোখে পড়েনি। এ দিন সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দিরে হাজির হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এসেছি বলে রাজ্য সরকার এ দিন বড় অনুষ্ঠান করেছে। কিন্তু সরকারি অনুষ্ঠান আমাদের বিধায়ক (ঘাটাল) শীতল কপাটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ সুর চড়িয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতিও। তাঁর কথায়, ‘‘যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, মেদিনীপুরের মাটিতে এসে বিদ্যাসাগরকে সম্মান জানানোর কোনও অধিকার তাদের নেই। বিজেপি বিভ্রাট তৈরির চেষ্টা করেছে। ওদের নেতারা চলে যাওয়ার পর এলাকা গঙ্গাজল দিয়ে পবিত্র করা হয়েছে।’’

বরাবরই বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বীরসিংহে পৃথক অনুষ্ঠান হয়। এমনিতে ২৬ সেপ্টেম্বর জন্মদিন পালন করেন অনেকে। আবার বাংলা তারিখ মতে ১২ আশ্বিন ধরে ২৯ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। এতদিন অবশ্য তেমন ঘটা করে অনু্ষ্ঠান হত না। স্থানীয় প্রশাসন এবং বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির রক্ষা কমিটির তরফে অনুষ্ঠান হত। বিদ্যাসাগরের দু’শো বছর জন্মজয়ন্তী পালনের পর জন্ম এবং মৃত্যু— দু’টি দিনকে সামনে রেখে একাধিক কর্মসূচি হয় বীরসিংহে। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিক কর্মসূচি হয় বীরসিংহে। ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিপ্লব রায়চৌধুরী, জেলা শাসক আয়েষা রানি, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা বিধায়ক জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ প্রমুখ। প্রশাসনের অনুষ্ঠানের পর বীরসিংহে এসে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুপুর ১টার সময় মূল সরকারি অনু্ষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় ৩টের সময়। সকাল ১০টার সময় বিজেপির কর্মসূচি ছিল। প্রশাসনের অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু হওয়ায় পিছিয়ে যায় তাদের কর্মসূচিও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE