ইন্দার একটি মণ্ডপে পরিযায়ী শ্রমিকদের মডেল। নিজস্ব চিত্র।
নেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাজেটের সঙ্গে কমেছে প্রতিমার উচ্চতাও। অবশ্য তার মাঝেই উৎসবের রেশ ধরে রাখতে করোনা কালেও থিমের মণ্ডপ দেখা যাচ্ছে খড়্গপুরের কয়েকটি কালীপুজোয়।
কালীপুজোর জাঁকে বরাবর নজর কাড়ে রেলশহর খড়্গপুর। ঝাপেটাপুর ‘টুয়েন্টি সেভেন্থ ইউথ সেন্টারের পুজো এ বার ২৫ বছরে পা দিল। এ বার তাঁদের থিম, ‘মায়ের টানে মাটির কাজ’। পোড়ামাটির কাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ। প্রতিমা হয়েছে দক্ষিণা কালীর আদলে। তবে প্রতিমার উচ্চতা ৪ ফুট কমিয়ে ১৩ফুট করা হয়েছে। এই পুজোর উপদেষ্টা হলেন শহরের তৃণমূল নেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডে। তিনি বলেন, “করোনা আবহে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে সব সচেতনতা বিধি মেনে পুজোর আয়োজন হয়েছে। বাজেট থেকে আয়োজনে কাটছাঁট করলেও থিমের পুজোয় কাটছাঁট করা হয়নি। গতবারের ১৩ লক্ষ টাকার বাজেট কমে ৬ লক্ষ টাকা হয়েছে। তাই ভোগ বিতরণ, বিসর্জনে শোভাযাত্রা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সামাজিক কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।”
ইন্দা মোড়ে ইউথ কর্নার অ্যাণ্ড সেভেন স্টারের পুজো এ বার ৪৯ বছরে পা দিল। এই পুজোর থিম ‘কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের বাঁচার লড়াই। খোলামেলা মণ্ডপ হয়েছে সাপ-লুডোর আদলে। সেখানে মানুষ কীভাবে উঁচুতে উঠেও করোনার গ্রাসে নীচে নেমে যাচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। মডেলের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা। এখানেও প্রতিমা হয়েছে দক্ষিণা কালীর আদলে। এই পুজোর কর্মকর্তা সোমনাথ আচার্য বলেন, “এ বার করোনার জন্য কোনও বিজ্ঞাপন, চাঁদা বাইরে থেকে পাইনি। সদস্যদের থেকে সংগৃহীত অর্থেই পুজো হচ্ছে। মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বাজেট কমানো হয়েছে। গত বার ৮ লক্ষ টাকার বাজেট কমে এ বার হয়েছে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। শহরের সবচেয়ে বড় কালীমূর্তি হয় খরিদা বাজারে। উদ্যোক্তা রাজু গুপ্ত জানান, গত বার সেখানে ২৩ ফুটের মূর্তি হয়েছিল। এ বার হচ্ছে ২০ ফুটের।
তবে কয়েকটি মণ্ডপে থিম থাকলেও রেলশহরের অধিকাংশ পুজোই হচ্ছে সাদামাটা। তালবাগিচা সেভেন স্টার ক্লাব, মালঞ্চর স্টার ইউনিট ক্লাবের মতো বিগ বাজেটের পুজোও এ বার খোলামেলা একচালার মণ্ডপে হবে। স্টার ইউনিট ক্লাবের কর্মকর্তা দীনেশ দোলুই জানান, মণ্ডপ চত্বর বাহারি আলোয় সেজে উঠলেও প্রতি বছরের মতো চন্দননগরের আলোকসজ্জা করা হয়নি। সেভেন স্টারেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির সদস্য পিঙ্কা দেবনাথ। শহরের সুভাষপল্লি টাইগার ক্লাবের পুজো এ বার ৫০ বছরে পা দিলেও করোনা কালে তারা বড় আয়োজন করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy