হলদিয়ায় হলদির তীরে অস্থায়ী বাজারে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে গেল জেলার বাজারহাটের ছবিটা। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবারের লকডাউনে সমস্ত দোকানপাট ছিল বন্ধ। স্বতস্ফূর্ত ভাবেই রাস্তাঘাটে বার হননি আম জনতা। কিন্তু শুক্রবার সকাল হতেই ফিরে এল বাজারে ভিড়ের চেনা ছবি।
শুক্রবার তমলুকে লকডাউনের নিয়ম মেনে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সব দোকানপাট খোলা ছিল। ওই সময়ে শহরের বড় বাজার এবং মহাপ্রভু বাজারে আনাজ, মাছ-সহ বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার জন্য বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে বলে অভিযোগ। স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী বিকাশ প্রামাণিক বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ করতে পুলিশের ব্যপক তৎপরতা ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাজারে ভিড় উপচে পড়লেও পুলিশের কোনও নজরদারি ছিল না।’’
শুক্রবার তমলুকের ১৫ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চার জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ১৭ জুলাই থেকে তমলুক শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন চালু হয়েছিল ১০ দিনের জন্য। পরিস্থিতির সামাল দিতে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে পুর প্রশাসন। তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘শহরে লকডাউনের মেয়াদ ২৬ জুলাই পর্যন্ত ছিল। তবে রিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
একই ভাবে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি বাজারে এ দিন সকালে ভিড় ছিল। স্থানীয় বল্লুক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘এ দিন সকালে প্রচুর মানুষের ভিড় জমেছিল এটা ঠিক। আমরা বাসিন্দাদের সচেতন করতে প্রচার চালাচ্ছি।’’
হলদিয়ায় সংক্রমণের জেরে আগেই বন্ধ হয়েছে মাখনবাবুর বাজার। এরই মধ্যে হলদি নদীর তীরে অস্থায়ী বাজার শুরু হয়েছে। এ দিন সকালে সেই বাজারেও উপচে পড়েছে জনতা। টাটকা মাছ এবং আনাজের খোঁজে আসা এত ক্রেতাদের দেখে অবাক ব্যবসায়ীরাও। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিলন বাজারেও মাস্ক ছাড়া বাজারে এসেছেন ক্রেতারা। সুতাহাটা গ্রামীণ এলাকায় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এই পরিস্থিতিতে হলদিয়ায় মাখনবাবুর বাজার হেলিপ্যাড মাঠে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। ভিড় প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ জানাচ্ছে, নদীর ধারে ভিড় হচ্ছে, সে নিয়ে তাদের কাছে খবর রয়েছে। তারা
পদক্ষেপ করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy