প্রতীকী ছবি।
জেলার যা জনসংখ্যা। তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এমন তথ্য সামনে আসায় উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শেষ জনগণনা অনুযায়ী জেলায় বসবাস করে প্রায় ১১ লক্ষ পরিবার। কিন্তু জেলা প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্যসাথী বিলি করা হয়েছে প্রায় ১৪ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী। বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ কী ভাবে প্রায় ৩ লক্ষ অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলার বেশ কিছু বাসিন্দা একই পরিবারে থাকলেও আলাদা আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কার্ড দেওয়া হয়েছে। একটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন কার্ডে নিবন্ধিত সদস্যরা। দেখা যাচ্ছে একটি পরিবারে ৫ জন সদস্য আছেন। সে ক্ষেত্রে ৫ জন সদস্যের জন্য একটিই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বরাদ্দ। কিন্তু দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওই পরিবার পেয়েছে কমপক্ষে ৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।
হলদিয়া পুরসভার হাতিবেড়িয়ায় একটি পরিবারের ৫ জন সদস্য। সেই পরিবারের কাছে রয়েছে ৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। ওই পরিবারের দাবি, একটি কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পরিষেবা পাওয়া যাবে। ৩টি কার্ড আছে তাই ১৫ লক্ষ টাকার পরিষেবা পাওয়া যাবে। তাই তাঁরা ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে আলাদা আলাদা ভাবে কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদন করার পরে ৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাঁদের দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের তরফে, অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তালিকা সংশোধন করার জন্য খাদ্যসাথীর তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
খাদ্যসাথীর সাথে আধার কার্ড সংযোগ করা আছে বাসিন্দাদের। তেমনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সাথেও সংযোগ করা আছে আধার কার্ড। জেলা প্রশাসনের দাবি, রেশন কার্ড বা খাদ্যসাথীতে একই পরিবারে যতজনের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে সেই তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংশোধন করা হবে। যদি কোনও পরিবারের এক সঙ্গে রেশন কার্ড থাকে তাহলে সেই পরিবার একটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবে। অতিরিক্ত কার্ড বাতিল করা হবে। একটি কার্ডের মধ্যেই পরিবারের সদস্যদেরা অন্তর্ভুক্ত হবেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি বলেন, ‘‘বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা আলাদা আলাদা করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। আধার কার্ডের মাধ্যমে একই পরিবারের সদস্যদের একটি কার্ডের আওতায় আনার কাজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy