শুভেন্দু অধিকারী।
লোকসভা ভোটের পর পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রভাব বাড়ছে বিজেপি। জেলায় শাসক দলের নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারের ভার শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মনোবল বাড়তে সেই নন্দীগ্রামেই ফিরলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার গড়বেতায় গিয়ে নিজেকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্পেশ্যালিস্ট ডক্টর বলে অভিহিত করলেন।
গড়বেতার ধাদিকার একটি মাঠে দিন কয়েক আগে সমাবেশ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ দিন সেই মাঠে ছিল তৃণমূলের সমাবেশ। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘ বিজেপি এখন সিপিএমকে নিয়ে হাঁটছে। নতুন বোতলে পুরনো মদ। তবে বেশি লম্ফঝম্প করবেন না। আমি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্পেশ্যালিস্ট ডক্টর। প্রথমে ভদ্রভাবে বলব, না শুনলে যা ওষুধ লাগে তাই প্রয়োগ করব, তবে আমরা তা চাই না, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই মোকাবিলা করব।’’ এ দিনের সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বাম আমলে তাঁর নেতৃত্বে হওয়া বিভিন্ন আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তবে জোর ছিল নন্দীগ্রামেই। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভয় পাবেন না, ভীত হবেন না। আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে পরিবর্তন এনেছি। লক্ষ্মণ শেঠ, সুশান্ত ঘোষরা ভো কাট্টা হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মস্তান কিষেণজির পরিণতি সবার জানা।’’ শুভেন্দু বলেন, "ভোটের পর আমরা টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছি, গ্রিভান্স সেল করা হয়েছে। সেখানে ২০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। তারমধ্যে ১৯ হাজারের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’’
এদিন গড়বেতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিজেপি ছেড়ে অনেকেই তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন শুভেন্দু। এদিনের সমাবেশে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, উত্তরা সিংহ, নির্মল ঘোষ, রমাপ্রসাদ তেওয়ারি, বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী, দীনেন রায়, শ্রীকান্ত মাহাত, গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার, ছাত্র ও যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরা ছাড়াও দলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব। মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy