Advertisement
E-Paper

নেতাই নেই শুভেন্দু উবাচে

জেলার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তা প্রসঙ্গে নানা কথা বললেও শুভেন্দু এ দিন মুখে আনেননি নেতাইয়ের নাম। অথচ এই নেতাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহুদিনের।

মঞ্চে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

মঞ্চে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০৭
Share
Save

নেতাই দিবসে তাঁর গরহাজিরা ঘিরে বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই ঝাড়গ্রামে হাজির হয়ে জেলার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার কথা ফের ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ফের অনুচ্চারিত থেকে গেল নেতাইয়ের নাম।

বুধবার সর্ডিহা বাংলোর মাঠে অঞ্চল সম্মেলনে এসেছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এ জেলাকে আমার মত কেউ আর চেনে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি জঙ্গলমহল চিনত? এই ঝাড়গ্রাম আমার ভদ্রাসন। প্রতি গ্রাম ও প্রতি এলাকা আমি চিনি। তোলামূল পার্টিকে উপুড়ে ফেলব। পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোর পার্টিকে তাড়াতে হবে।’’

জেলার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তা প্রসঙ্গে নানা কথা বললেও শুভেন্দু এ দিন মুখে আনেননি নেতাইয়ের নাম। অথচ এই নেতাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহুদিনের। প্রতিবছর নেতাই দিবস (৭ জানুয়ারি) পালন অনুষ্ঠানে হাজির থাকতেন শুভেন্দু। ২০২২ সালে লালগড়ে এসেও নেতাইয়ে ঢুকতে পারেননি শুভেন্দু। বাধা পেয়েছিলেন লালগড়ের ঝিটকায়। এ বারই প্রথম তিনি নেতাই দিবসের দিন সেখানে হাজির হননি। যদিও ওই দিন নন্দীগ্রামে গিয়ে নেতাই প্রসঙ্গ টেনেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘‘২০১১ সালে পরিবর্তন যে পশ্চিমবঙ্গ হয়েছিল তার প্রধান কারণ যদি নন্দীগ্রাম হয়ে থাকে, পরবর্তীকালে কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতেছিল লালগড়ের নেতাই। আমি ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি বাধা পেয়েছিলাম।’’ ওইদিন শুভেন্দুকে এ-ও বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘২০১১ সালে ৭ জানুয়ারি সকাল আটটায় নেতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। আমার বাড়ি থেকে লালগড় দুশো কিলোমিটার। আমি নিজে পৌঁছেছিলাম। সব দেহ আমি নিজে তুলেছি।’’ নেতাই দিবসের চারদিনের মাথায় শুভেন্দু ঝাড়গ্রামে পৌঁছলেও নীরব রইলেন নেতাই নিয়ে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘নেতাইয়ের মানুষজন গত বছর মানুষ সঙ্গ দেয়নি। সেজন্য নেতাইয়ে অপদস্থ হওয়ার ভয়ে যায়নি। পঞ্চায়েতে উনারা প্রত্যেক বুথে প্রার্থী দিক তারপর জেতার কথা ভাববেন।’’ এক সময় তৃণমূলের তরফে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। পরে দায়িত্ব দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এ দিন পার্থকে নানা কটাক্ষে বিঁধেছেন শুভেন্দু।

শুভেন্দু কর্মীদের জানিয়েছেন, এখানে দু’টি পার্টি ছিল লাল (সিপিএম) ও সবুজ (ঝাড়খণ্ড)। আরেক সবুজ দলের পতাকা যে তাঁর হাত ধরেই হয়েছিল তা বলতে গিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘এখানে হেঁটে হেঁটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টিকে জন্ম দিয়েছিলাম। বেলপাহাড়ি, নয়াগ্রামের কোনও গ্রামে এ তৃণমূলে কেউ চিনত না।’’

তাই ফের হাঁটবেন শুভেন্দু। ৩০ জানুয়ারি থেকে জঙ্গলমহল থেকে শুরু হবে তাঁর হাঁটা।

শরীর ভাল রাখতে প্রায়ই হাঁটার পরামর্শ দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাঁটছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর হাঁটা ভারত জোড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে। কংগ্রেসের দাবি, এতে নাকি সংগঠনের স্বাস্থ্যও ভাল হচ্ছে। হাঁটবেন কাঁথির শান্তিকুঞ্জের অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। কতটা পথ হাঁটলে তবে ফিরে পাওয়া যায় অধিকার!

Suvendu Adhikari Jhargram Netai

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।