ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে বাধা পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে বাধা পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার কাঁথির ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী গোবিন্দ খাটুয়ার সমর্থনে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। এক সময়ের সতীর্থকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের সর্বময়নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। প্রচারে এই ভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারাতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। ঘটনাচক্রে, ওই ওয়ার্ড বরাবরই ‘অধিকারী-গড়’ বলে পরিচিত। গত পুরনির্বাচনে সৌম্যেন্দু ওই ওয়ার্ড থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন।
কাঁথির পুরভোটে পায়ে হেঁটেই প্রচারে যাচ্ছেন শুভেন্দু। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর কাঁথি পুরভোটে অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও দলীয় প্রার্থীদের জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে ‘দুয়ারে শুভেন্দু’ বলতেও শোনা গিয়েছে তাঁকে। এই ভাবেই বৃহস্পতিবার পায়ে হেঁটে শুভেন্দু কনৌকপুর এলাকায় পৌঁছতেই ওই একই সময় প্রচারে বেরোনো তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের একটি দল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মমতা ও অভিষেকের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। যা শুনেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এ সব কেন করছ? এইগুলো করবে না। সবাই নির্বাচনে প্রচার করবে।’’ এর পরেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে এলাকা ছাড়েন শুভেন্দু। উত্তেজনা হতে পারে আঁচ করেই ওই এলাকায় ছুটে আসে কাঁথি থানার পুলিশ। কিন্তু তত ক্ষণে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।
বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মী রমেন দাস বলেন, ‘‘১০ বছর পর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কথা মনে পড়ল শুভেন্দুর। এই ওয়ার্ডের আগের কাউন্সিলর সৌম্যেন্দু অধিকারীকেও কোনও দিন দেখা যায়নি এলাকায়। ঝড়-বৃষ্টিতে যাই হোক না কেন, কখনওই আসতেন না এখানে। শুভেন্দু অধিকারী পুরো দস্তুর ডুমুরের ফুল। ভোটের সময় আসতেই এলাকার কথা মনে পড়েছে।’’
শুভেন্দুকে প্রচারে বাধা দেওয়ায় শাসকদলকে বিঁধে সৌম্যেন্দু বলেন, ‘‘যার যেমন সংস্কৃতি! এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করব না। আমরা ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy