Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

বার্লা-সৌমিত্রর মত ব্যক্তিগত, বাংলা ভাগ নিয়ে দিলীপের সুরেই বললেন শুভেন্দু

বার্লা এবং সৌমিত্র বাংলা ভেঙে পৃথক রাজ্যের দাবি তুললেও নিজের দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পক্ষেই সায় দিয়েছেন শুভেন্দু।

—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২১ ২৩:৫২
Share: Save:

নিজের দলের দুই সাংসদ জন বার্লা এবং সৌমিত্র খাঁ-র বাংলা ভেঙে পৃথক রাজ্যের দাবি তুললেও তা তাঁদের ব্যক্তিগত মত। এমনটাই দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে নিজের দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পক্ষেই সায় দিয়েছেন শুভেন্দু।

বিধানসভা ভোটের পর শনিবার ঝাড়গ্রামে এসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন শুভেন্দু। এর পর রাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য ভাগের কথা আমাদের দলের নয়। এমন মন্তব্য যাঁরা করেছেন, তাঁরা তা ব্যক্তিগত ক্ষমতায় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ভাগ প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি যা বলেছেন, সেটা আমারও বক্তব্য।”

প্রসঙ্গত, বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করার পক্ষে নয়, তা আগেই জানিয়েছিলেন দিলীপ। আলিপুরদুয়ার এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ যথাক্রমে জন বার্লা এবং সৌমিত্র খাঁ বাংলা ভেঙে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবিতে সরব হলেও সে দাবিগুলি তাঁদের ব্যক্তিগত মত বলেই সাফ জানিয়েছিলেন দিলীপ। ওই সাংসদের কার্যত সতর্কবার্তা দিয়ে মঙ্গলবার দিলীপ বলেছিলেন, ‘‘আলাদা রাজ্যের দাবি যাঁরা তুলছেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত মত। দলের মত, পশ্চিমবঙ্গ ভাগ হবে না। দলে থাকতে হলে দলের মত মেনে থাকতে হবে।’’ শনিবার শুভেন্দুর কণ্ঠেও একই সুর শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্য ভাগ নিয়ে দলের পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি পরিষ্কার করে বলেছেন। এ বিষয়ে দলগত ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেই। বিজেপি কোনও একটি ব্যক্তি নয়। সবাই মিলে বসে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই দলের এবং আমারও সিদ্ধান্ত।”


বাংলা ভাগের বিষয়ে পক্ষপাতী না হলেও উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহলে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, “দক্ষিণ কলকাতার ৩-৪টে লোক ৩০টা দফতর দখল করে রেখেছে। তারা রাঢ়বঙ্গ, জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গকে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্ম সংস্থান থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাদের বাড়ির বিলেতি কুকুরকেও বিদেশে ঘুরতে নিয়ে যায়, চাকরি দেয়। কিন্তু, জঙ্গলমহলের লোকেরা চাকরি পায় না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE