শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর নির্দেশেই দলীয় পর্যবেক্ষকদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছে। জেলার কোনও শহর ‘পুনরুদ্ধার’- কে সামনে রেখে তৃণমূলের অন্দরে এমন গ্রুপ এই প্রথম খোলা হয়েছে। অবশ্য সেই গ্রুপে এখনও পর্যন্ত ‘স্পিকটি নট’ পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দলের এক সূত্র জানাচ্ছে, গ্রুপে দলীয় পর্যবেক্ষকেরা যে সব তথ্য- ছবি দিচ্ছেন, সে সবই দেখছেন (সিন) করছেন শুভেন্দু। তবে তিনি কোনও মন্তব্য করছেন না। এমনকি, ওই গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’ও নন শুভেন্দু।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, ‘‘গ্রুপের সমস্ত কিছুই শুভেন্দু অধিকারীর নজরে রয়েছে।’’ দলের এক সূত্র জানাচ্ছে, শুভেন্দুর নির্দেশে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি খোলা হয়েছে ১৯ অগস্ট। শুরুতে শুভেন্দুকে এই গ্রুপে আনা হয়নি! তাঁকে এই গ্রুপে জোড়া হয় ২৫ অগস্ট। তাঁকে জোড়ার পর শুভেন্দু গ্রুপে শুধু মন্তব্য করেন, ‘ওয়েলকাম’। দলীয় সূত্রে খবর, গ্রুপটিতে ৫৮ জন রয়েছেন। এরমধ্যে ৫৬ জন দলীয় পর্যবেক্ষক। গ্রুপে ‘অ্যাডমিন’ হিসেবে রয়েছেন ৩ জন যুব নেতা। এঁদের মধ্যে ২ জন পর্যবেক্ষক। বাকি একজন দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মী। লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর গত ১৭ জুন মেদিনীপুরে দলের এক বৈঠকে এই গ্রুপ খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি জানিয়েছিলেন, ওয়ার্ড- ভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। পর্যবেক্ষকদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু দলের তরফে পশ্চিম মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। বৈঠকে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘খড়্গপুরে কয়েকজন বাছাই করা নেতাকে আমার চাই। আমি ৩৫টা ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষক করব।’’ পরে বাছাই করা নেতাদের নাম, ফোন নম্বর শুভেন্দুকে দেওয়া হয়। শুভেন্দু ওয়ার্ড- ভিত্তিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেন। পর্যবেক্ষকদের নিয়ে খড়্গপুরে বৈঠকও করেছেন শুভেন্দু। বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘গাড়ি থাকতে পারে, তবে মোটর সাইকেল করে ওয়ার্ডে ঘুরতে হবে। রাত ১২টায় ফোন ধরতে হবে। এমন ডেডিকেটেড নেতা চাই।’’
ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষকেরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সুরাহার চেষ্টা করছেন। দলের এক সূত্রে খবর, গ্রুপে শুরুর দিকে কয়েকজন অ- সাংগঠনিক বিষয়ের তথ্য দিচ্ছিলেন। শুভেন্দুর নির্দেশে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, এই গ্রুপে সাংগঠনিক বিষয়ে বাদে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে তথ্য কিংবা ছবি দেওয়া যাবে না। দলীয় সূত্রে খবর, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘খড়্গপুর পর্যবেক্ষক’।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘খড়্গপুরে আমরা রিকভারি করে নেব।’’ সব শুনে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, ‘‘বিধানসভার উপনির্বাচনে বোঝা যাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy