Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
JP Nadda

মাঠ না ভরার নানা ব্যাখ্যায় উঠছে প্রশ্ন

জেলা পুলিশের হিসেবে মঙ্গলবার নড্ডার সভায় ৭ হাজার লোক হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সূত্রের দাবি, সভায় ১৫ হাজার লোক হয়েছিল।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:১৫
Share: Save:

দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার জনসভায় আশানুরূপ লোক না-হওয়ার কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন বিজেপির জেলা নেতারা। তবে তার জন্য সাংগঠনিক কোনও ত্রুটি নেই বলেই দাবিই তাঁদের।

মঙ্গলবার লালগড়ের ভিলেজ মাঠে জঙ্গলমহলে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে এসেছিলেন নড্ডা। বিজেপির দাবি ছিল ঝাড়গ্রাম জেলার ১৮টি মণ্ডলের ১০৮৫টি বুথ থেকে কমপক্ষে ৮০ হাজার জমায়েত করা হবে। কিন্তু মাঠ ভরেনি। রাতে শহরের অফিসার্স ক্লাবের মাঠে নাড্ডার সভা করার কথা থাকলেও সেটি বাতিল করা হয়। জেলা পুলিশের হিসেবে মঙ্গলবার নড্ডার সভায় ৭ হাজার লোক হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সূত্রের দাবি, সভায় ১৫ হাজার লোক হয়েছিল। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ জানাচ্ছেন, সভায় ৩০ হাজার লোক হয়েছিল।

কেন এমন হল? বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনীর দাবি, ‘‘এখন চাষের কাজ চলছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়ার নাম করে প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে আটকে রেখেছিল।’’ কেউ বলছেন পর্যাপ্ত যানবাহন মেলেনি। নাড্ডা কপ্টারে লালগড় মাঠে পৌঁছন নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ। তাই দূরদূরান্তের মানুষজনকে মাঠে বসিয়ে রাখা যায়নি বলেও ব্যাখা উঠে এসেছে। গেরুয়া শিবিরের একাংশের আবার দাবি, পরিবর্তন যাত্রা সফল করতে যে সব এলাকার মণ্ডল নেতৃত্ব দায়িত্বে, সেখানকার অনেকেই সভায় যাননি।

ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রমের অভিযোগ, ‘‘অনেক জায়গায় তৃণমূলের লোকেরা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি আটকেছিল। ধমক-চমকও দিয়েছিল।’’ ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথীর ব্যাখ্যা, ‘‘লালগড়ে যাওয়ার ব্যাপারে মানুষের মনে আতঙ্ক থাকে। সেই জন্য লালগড় থেকে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা-সভা করেছিলাম। কে কী বলল, লোক হল কী হল না সেটা বিষয় নয়, ভোটের ফলেই বিজেপির জনসমর্থন প্রমাণ হয়ে যাবে।’’

তবে বিজেপি শিবির যাই ব্যাখ্যা দিক, এই ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মঙ্গলবারই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বীরভূমের তারাপীঠে নড্ডার কর্মসূচিতে ভাল ভিড় হয়েছিল। ঝাড়গ্রামে বিশেষ করে লালগড়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব আছে। তিনি এখন বিজেপিতে। তারপরেও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিজের জেলায় কেন এমন হল? এর পিছনে কী বিজেপির কোনও আভ্যন্তরীণ সমীকরণ কাজ করছে? উত্তর না মিললেও দলের অন্দরে অনেকে বলছেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জন্যই এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ভোটের আগে এই বিষয়কে প্রচারে আনছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর দাবি, ‘‘লালগড় এখন দেশের মধ্যে শান্তির মডেল। বিজেপিই এলাকাকে অশান্ত করতে চাইছে। প্রমাণ হয়ে গেল, এখানকার আদিবাসী-মূলবাসীরা বিজেপির ফাঁদে পা দেননি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

BJP lalgarh JP Nadda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy