শোলগেড়িয়ায় চূড়ামণি। ফ্লেক্সে লেখা ‘শুভ উদ্বোধন’ (চিহ্নিত)।
রাস্তার টেন্ডার এখনও হয়নি। তার আগেই বুধবার ঘটা করে মঞ্চ করে ‘উদ্বোধনী’ অনুষ্ঠান হয়ে গেল ঝাড়গ্রাম ব্লকে!
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ব্লকের শালবনি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রস্তাবিত ওই রাস্তাটি ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী হিসেবে তৈরি হবে। ওই গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য ৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। রাস্তাটি শোলগেড়িয়া থেকে চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর, আমলাচটি হয়ে লবকুশ গ্রাম পর্যন্ত চার কিমি দীর্ঘ হবে। আমলাচটি গ্রামেই গোপীবল্লভপুরের বর্তমান বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতোর আদিবাড়ি। দলীয় কাজের জন্য চূড়মণি বেশিরভাগ সময়ে লোধাশুলিতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আমলাচটি গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। চূড়ামণিও ওই রাস্তা দিয়েই গ্রামের বাড়িতে যান। গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন চূড়ামণি। তারপরই ওই পর্ষদ থেকে রাস্তাটি তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়। সেই রাস্তার কাজ শুরুর আগেই শুরু হল বিতর্ক। কারণ এ দিনের অনুষ্ঠানে যে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল, তাতে ‘রাস্তার শুভ উদ্বোধন’ লেখা ছিল। চূড়ামণিও মঞ্চে রাস্তা উদ্বোধনের কথা বলেন। যে রাস্তার টেন্ডার অবধি হয়নি, সেটির উদ্বোধন হল কী করে! চূড়ামণির ব্যাখা, ‘‘ভোট ঘোষণা হলে কিছু করতে পারব না। সেজন্য আমি অনুষ্ঠান করে জানিয়ে দিলাম রাস্তাটা হবে।’’ উদ্বোধনের কথা এল কেন? বিধায়ক বলেন, ‘‘ওটা তাহলে ভুল করে হয়ে গিয়েছে। উদ্বোধন আর কাজের সূচনা যাই হোক না কেন, রাস্তার কাজ তো হবে। ওই রাস্তা দিয়ে তো বিজেপির লোকজনও হাঁটবেন। আজ হোক, কাল হোক বা ভোটের পর হোক, রাস্তা তো হবে।’’ তবে কবে থেকে কাজ শুরু হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
শোলগেড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ দিনের অনুষ্ঠানে নারকেলও ফাটান বিধায়ক। ভোটের আগে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, দশ বছর বিধায়ক পদে থেকেও এতদিন নিজের এলাকার রাস্তার কাজ করাতে পারেননি চূড়ামণি। এ বার ভোটে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বুঝে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এলাকাবাসীর মন ভোলানোর চেষ্টা হচ্ছে।
চূড়ামণি এর আগেও একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কয়েক বছর আগে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ঠিকমতো জনসংযোগ না করার জন্য ধমকও দিয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগেই চূড়ামণিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে পঞ্চায়েতে এলাকায় ওই রাস্তা হওয়ার কথা, সেই শালবনির সব সদস্যই এখন বিজেপির। নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy