এভাবেই মাটি কাটা হচ্ছে বলে নালিশ।
ইট তৈরির জন্য হুগলি নদীর পাড় থেকেই বেআইনি ভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে মাটি। লরি করে তা চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। যথেচ্ছ ভাবে মাটি কাটার ফলে ভাঙনের আশঙ্কায় নদীর পাড়ের গ্রামগুলির বাসিন্দারা।
মহিষাদলের বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় হুগলি নদীর পাড় থেকে মেশিন দিয়ে দেদার কেটে নেওয়া হচ্ছে মাটি। ইট তৈরির জন্য স্থানীয় একটি ইটভাটার মালিক নদীর পাড় থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি জানেন। অথচ তাঁরা চোখ বন্ধ করে রয়েছেন। এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘প্রশাসনের নাকের ডগায় এই কাজ চললেও সকলেই নীরব দর্শক। আসলে সবটাই বোঝাপড়ার বিষয়। সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ইটভাটার মালিকের বোঝাপড়া রয়েছে।ফলে সব দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে সকলে। পরিণামে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের আর আমাদের মতো নদীর ধারে থাকা বাসিন্দাদের। পাড় থেকে এ ভাবে মাটি কাটলে ভাঙনে বা বাঁধ ভেঙে বন্যার বিপদ রুখবে কে!’’
তৃণমূলের বেতকুন্ডু অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি পলাশ হালদারের অবশ্য দাবি, ‘‘এ ভাবে যে মাটি কাটা হচ্ছে সেটা আমরা জানতাম না।’’ যে ইটভাটার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে তার মালিকের প্রতিনিধি শেখ মিঠুন বলেন, ‘‘সব বাজে অভিয়োগ, ওই জায়গা রায়ত সম্পত্তি।’’ কিন্তু নদীর পাড় কী ভাবে রায়ত সম্পত্তি হতে পারে প্রস্ন করলে তিনি জানান, সেচ দফতরের সঙ্গে কথাবার্তা বয়েছে। তাই ওই জায়গা থেকে মাটি কাটা হচ্ছিল। তবে এ দিন সেচ দফতর নিষেধ করায় মাটি কাটার কাজ বন্ধ রয়েছে।
কী বলছে স্থানীয় প্রশাসন? মহিষাদলের বিডিও যোগেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে এসেছে। খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্যও ‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy