Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

আগাম সতর্কতায় এসএমএস

হাতির হানায় নাজেহাল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বন দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় হাতি ঢোকা নিয়ে গ্রামবাসীকে আগাম সতর্ক করতে এসএমএস বার্তার উপর জোর দিচ্ছে বন দফতর। মোবাইলে এই বার্তা গ্রামে-গ্রামে পৌঁছলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে বলেই আশা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৮
Share: Save:

হাতির হানায় নাজেহাল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বন দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় হাতি ঢোকা নিয়ে গ্রামবাসীকে আগাম সতর্ক করতে এসএমএস বার্তার উপর জোর দিচ্ছে বন দফতর। মোবাইলে এই বার্তা গ্রামে-গ্রামে পৌঁছলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে বলেই আশা।

প্রতি বছর দলমা থেকে আসা হাতির দল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া হয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়ে। এরপরে কংসাবতী পেরিয়ে কলাইকুণ্ডা, সাঁকরাইল হয়ে নয়াগ্রাম ও ওড়িশা পৌঁছয় তারা। তবে গত কয়েক বছর ধরে ওড়িশায় ঢুকতে বাধা পেয়ে অসময়ে দলমায় ফিরছে হাতির দল। আর সেই সময় পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে এ রাজ্যে। শুধু স্থায়িত্বকাল নয়, বছর-বছর দলমা থেকে আসা হাতির সংখ্যা বাড়ছে। এর জেরে খড়্গপুর বন বিভাগে ক্ষতির বহর বাড়ছে।

গত অর্থবর্ষে খড়্গপুর বন বিভাগে প্রায় ৫৮দিন ছিল দলমার হাতিরা। এই বন বিভাগের কিছু রেসিডেন্ট হাতিও রয়েছে। এই সব হাতির দাপটে জঙ্গল ঘেঁষা এলাকায় মানুষ ত্রস্ত। হাতির হানায় মৃত্যু থেকে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি সবই হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ যে সমাধানের পথ নয় তা বুঝছে বন দফতর। তাই মানুষকে আগাম সতর্ক করতে ‘বাল্ক এসএমএস’ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে খড়্গপুর বন বিভাগ। এতে এক সঙ্গে একাধিক মোবাইলে হাতি ঢোকার সতর্কবার্তা পৌঁছবে। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়ায় অনেক আগেই এই পদ্ধতি শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীকে আগাম সতর্ক করা গেলে ক্ষতি কমবে বলেই আশা।”

এর জন্য বিএসএনলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে বন দফতর। প্রাথমিকভাবে রেঞ্জ ভিত্তিক মোবাইল নম্বরের তালিকা তৈরি হয়েছে। এই ব্যবস্থা খড়্গপুর বন বিভাগের অধীনে থাকা কলাইকুণ্ডা, নয়াগ্রাম, ঘাটাল-সহ ৭টি রেঞ্জে চালু হবে। রেঞ্জ প্রতি গড়ে ৪০টি বন সুরক্ষা কমিটি রয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে ৯-১১জন করে সদস্য। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জে হাতি ঢুকলেই প্রত্যেকের মোবাইলে এসএমস যাবে। ক্রমে খবর গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছবে। বনসুরক্ষা কমিটি ছাড়াও বনকর্মী, পঞ্চায়েত সদস্য, সংশ্লিষ্ট থানা, ব্লক প্রশাসনের কর্মীদের নম্বরেও বার্তা যাবে। ডিএফও অঞ্জনবাবু বলেন, “তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের মধ্যেই এই ব্যবস্থা চালুর আশা রাখছি।’’ সচেতনতা বাড়াতেও বন দফতর হাতি নিয়ে পথনাটিকা ও স্কুলে-স্কুলে শিবিরও করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Elephant Attack SMS alert
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy