— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিঘায় এক তরুণী পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠতেই কাঠগড়ায় সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কী ভাবে জনবহুল পর্যটনকেন্দ্রে এই কাণ্ড ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পর্যটক থেকে হোটেল ব্যবসায়ী— সকলেই পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করার দাবি তুলেছেন। হোটেলে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। এখনও অধরা এক অভিযুক্ত। পুলিশের তরফে পর্যটকদের কাছে আর্জি, সমস্যায় পড়লে থানায় যান।
ধর্ষণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন। যে সমস্ত স্পট বুকিং এজেন্টরা দিঘায় কর্মরত, তাঁদের প্রত্যেককে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পর্যটকেরা সমস্যায় পড়লে দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিঘার একাধিক হোটেলে অনলাইনে বুকিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও যে কোনও সময় হোটেলে স্পট বুকিংও করা যায়। প্রতিটি হোটেলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এ ছাড়াও পর্যটকদের সুরক্ষা দেওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত রয়েছে হোটেলগুলিতে।’’
এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদ্বীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দিঘা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই এমন একটি জায়গার সুরক্ষা নিয়ে কোনও রকম খামতি রাখেনি জেলা পুলিশ। গোটা পর্যটনকেন্দ্রের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে দু’টি থানা। ওল্ড দিঘার কিছুটা অংশ, নিউ দিঘা থেকে ওড়িশাক বর্ডার ও দিঘা বাইপাস-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার দায়িত্বে রয়েছে দিঘা থানা। আবার ওল্ড দিঘার সমুদ্র সৈকত, দিঘা গেট, মেরিন ড্রাইভ, দিঘা মোহনা-সহ এলাকার দায়িত্বে রয়েছে দিঘা কোস্টাল থানা। সমুদ্রে নজরদারিতে রয়েছে নুলিয়া, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী, পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার। এ ছাড়াও সম্প্রতি মহিলাদের আপৎকালীন সাহায্যের জন্য উইনার টিম (মহিলা পুলিশের বাইক বাহিনী) মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রতিনিয়ত দিঘায় টহল দেয় পুলিশের গাড়ি। রাত গভীর হলেই সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের হোটেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘মহিলা পর্যটকের উপর অত্যাচারের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও এক অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” পাশাপাশি, পর্যটকদের উদ্দেশে পুলিশ সুপারের বার্তা, “আপনারা দিঘায় এসে কোনও রকম সমস্যায় পড়লে দ্রুত পুলিশের কাছে সাহায্য নিন। অপরিচিত ব্যক্তির পরিবর্তে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব রকম সহযোগিতা পাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy