ফাইল চিত্র।
সৈকত শহরের সব হোটেল ব্যবসায়ীর সরাই লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। দিঘায় হোটেল এবং লজের সংখ্যা পাঁচশোর বেশি। এদের অধিকাংশেরই সরাই লাইসেন্স নেই বলে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ) সূত্রে খবর। ফলে ওই সব হোটেল বা লজ সম্পর্কে বিশেষ তথ্য নেই ডিএসডিএ এবং জেলা প্রশাসনের কাছে। এ দিনের বৈঠকে হোটেল ব্যবসায়ীদের সরাই লাইসেন্স সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কী ভাবে মিলবে সরাই লাইসেন্স? ভবন তৈরির নকশা, ভবন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, বিদ্যুৎ এবং অগ্নিনির্বাপণ দফতরের সম্মতিপত্র থাকলে তবেই মিলবে হোটেল ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট সরাই লাইসেন্স। অভিযোগ, ওল্ড এবং নিউ দিঘার বেশ কিছু হোটেলে এই ধরনের পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও ব্যবসা চলছে। সব দিক বিবেচনা করেই হোটেলগুলির সরাই লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
দিঘার কিছু হোটেল, রেস্তোরাঁয় নিকাশি ব্যবস্থাও নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে ওই সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁর বর্জ্য গিয়ে সমুদ্রের জলে মিশছে। সৈকত শহরের হোটেলগুলিতে যথেচ্ছ ভাড়া চাওয়ারও ভুরিভুরি অভিযোগ আসে প্রশাসনের কাছে। এ দিন সে বিষয়েও হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। ডিএসডিএ সূত্রে খবর, সব হোটেল মালিককে ঘর ভিত্তিক ভাড়ার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই তালিকা ডিএসডিএ-র কাছে জমা দিতে হবে। হোটেলেও ঘরভাড়ার তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। জেলাশাসক ঘোষ বলেন, ‘‘হোটেল মালিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আগামী দিনে সৈকত শহর দিঘাকে আরও সুন্দর এবং স্বচ্ছ করে তুলতে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy