বুধবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার লছমাপুর দক্ষিণ গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে যায়। প্রতীকী চিত্র।
বিসর্জন সেরে ফেরার পথে ঘটল বিপত্তি। ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। বুধবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার লছমাপুর দক্ষিণ গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে যায়।
মৃত বিশ্বম্ভর জানা (২৩)- র বাড়ি ওই গ্রামেই। তিনি পেশায় মাটি কাটার মেশিনের চালক ছিলেন। বুধবার দুপুর থেকে ছিঁড়ে থাকা তারে পড়শি যুবক রাজু চক্রবর্তী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াতেই বিপত্তি ঘটে বলে মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ। তার জেরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্ত ওই যুবকের বাড়ি। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসী। পরে পুলিশ রাজুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে ঘটনার পর থেকেই রাজুর পরিবার গ্রামছাড়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে গাছের ডাল ভেঙে ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের একটি তার। গ্রামবাসী তড়িঘড়ি ট্রান্সফরমারের জাম্পার নামিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় গোটা গ্রাম। কথা ছিল, গ্রামের দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের পরে ওই সংযোগ মেরামতির কাজ হবে। তবে দীর্ঘক্ষণ গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকা সত্ত্বেও কেন তার মেরামতের ব্যবস্থা হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের খড়্গপুরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মহাপাত্র বলেন, “ঘটনা ঘটার পরে পুলিশের মাধ্যমে আমরা রাতে জানতে পেরেছি। তার আগে বিষয়টি কেউ জানায়নি।”
এ দিকে সন্ধ্যায় বিসর্জনে যায় বেশিরভাগ গ্রামবাসী। রাতে গ্রামে ফেরার পরে কেউ ট্রান্সফরমারের জাম্পার তুলে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয়। তখনই বিসর্জন সেরে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বিশ্বম্ভর। মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার আগেই অবশ্য মৃত্যু হয় ওই যুবকের। গ্রামবাসীদের দাবি, রাজু চক্রবর্তী ট্রান্সফরমারের তালা ভেঙে জাম্পার তুলে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করেছেন। বিশ্বম্ভরের কাকা প্রফুল্লকান্তি জানা বলেন, “রাজু গ্রামে ফিরেই ডিপ টিউবওয়েল চালিয়ে স্নান করবে বলে তালা ভেঙে জাম্পার তুলে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে। ওর জন্যই আমার ভাইপোর মৃত্যু হয়েছে। আমরা ওর শাস্তি চাই। তাছাড়া ভাইপোর পরিবার দুঃস্থ। তাই ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।” রাজুর ভাই সুভাষ চক্রবর্তী বলেন, “সবাই বলছে দাদা ওই জাম্পার তুলে দিয়েছিল। এটা অন্যায়। এতে আরও ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু কেন ও এমন কাজ করল সেটা বুঝতে পারছি না।”
পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy