প্রতীকী ছবি
পুরভোটের মুখে শেখ ইমরানকে কাঁথি শহর যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে এবং সহ সভাপতির পদ থেকে উত্তম বারিককে সরিয়ে দিলেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। দু’জনেই পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
বুধবার রত্নদ্বীপ মান্না এবং সুরজিৎ নায়ককে শহর যুব তৃণমূলের নতুন সভাপতি এবং কার্যকরী সভাপতি পদে নিয়োগ করেন রাজ্য যুব তৃণমূল নেতৃত্ব। দুজনেই জেলা রাজনীতিতে ‘অধিকারী পরিবার বিরোধী’ এবং জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরির ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয় বলে দলের একাংশ জানিয়েছে। আর এই রদ বদলের পর ঘাসফুলের ‘দুর্গ’ পূর্ব মেদিনীপুরে শাসকদলের অন্দরে পুরভোটের মুখে রাজনৈতিক জল্পনা বাড়ল।
জেলা যুব তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার যুব সংগঠনের নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে ৩০ জনের জেলা কমিটি এবং ২৫টি ব্লক কমিটি ও ৫ টি শহর সভাপতি এবং কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। সেদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সংগঠনে রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাংসদ ও সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের জনসংযোগ রক্ষার এই নয়া কর্মসূচি নিয়ে শুরু থেকেই পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কিংবা তার পরিবারের কেউ আগ্রহ দেখাননি বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে জেলা যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সুপ্রকাশ গিরিকে দায়িত্ব দেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের একাংশ সূত্রে খবর, জেলা রাজনীতিতে সুপ্রকাশ গিরির অনুগামীরা অধিকারীদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত। এই অবস্থায় দুই শিবিরের মধ্যে বিরোধ বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। তার উপর কাঁথি শহরে যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে অধিকারী ঘনিষ্ঠ শেখ ইমরানকে সরানোর ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও এ প্রসঙ্গে ইমরানের দাবি, ‘‘সংগঠনে রদবদলের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে জেনেছি। তবে এখনও দলীয়ভাবে কোন নির্দেশ পাইনি।’’ ইমরানের পরিবর্তে কাঁথি শহরের যুবর দায়িত্বে আনা হয়েছে বিধায়ক অখিল গিরির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রত্নদ্বীপ মান্না এবং তাঁর ভাগ্নে সুরজিৎ নায়ককে। যা দেখে কেউ কেউ পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন।
তবে পুরভোটের মুখে যুব সংগঠনে রদবদল নিয়ে বিতর্ক থাকা উচিত নয় বলেই মনে করেন জেলা যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তাঁর দাবি, ‘‘দু’বছর ধরে কোনও কারণে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি তৈরি করা যায়নি। কয়েকদিন আগে রাজ্য নেতৃত্ব পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা চেয়ে পাঠান। আমরা যে তালিকা পাঠিয়েছিলাম, সেই তালিকাকে মান্যতা দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।’’
যদিও নতুন এই জেলা কমিটির কথা অস্বীকার করেছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক সংগ্রাম দলুই। তাঁর দাবি, ‘‘পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি তৈরির জন্য একটি লিখিত প্রস্তাব রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠিয়েছিলাম। তবে কারা কোন পদ পেয়েছে সে সংক্রান্ত দলের তরফে কোনও চিঠি এখনও আমার কাছে পৌঁছয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy